
হত্যা মামলা মীমাংসা না করায় সাহতা গ্রামের মো:হাসেম মিয়া কে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় জড়ালেন একই গ্রামের সোহেল রানা । ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা’র বারহাট্টা উপজেলায় সাহতা ইউনিয়নের সাহতা গ্রামে ।
জিলু মিয়া ও দুলালের ইন্ধনে জিলুর ছেলে সোহেল রানা কর্তৃক একই গ্রামের হাসেম মিয়ার(৫৭) নামে মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল২১/৩/২০২৫ইং বিকেলে
নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল রোডে মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন করে ভূক্তভোগী হাসেমের পরিবার ও এলাকার সচেতন মহল ।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী মো:
হাসেমের স্ত্রী সাবিকুন্নাহার বলেন ,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার ভাসুর জহরলাল এর পুত্র আমিরুল তার স্ত্রী কর্তৃক খুন হয় ঢাকায় । ভাষানটেক থানার মামলা নং -০১(০৭)২০২২ , ৩০২/৩৪ ধারায় উক্ত
মামলা থেকে প্রকৃত আসামি মোসাঃ সুরমা আক্তার গংগের সাথে হাত মিলিয়ে আপোষ নিষ্পত্তি করার জন্য কুচক্রী জিলু গং হাসেম মিয়া কে ৫,০০০০০/-পাচঁ লক্ষ টাকা দেওয়ার শর্তে মামলা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব করলে, আমার স্বামী মোঃ হাসেম মিয়া বলে, আমার ভাতিজার খুন হয়েছে আমি টাকা নিয়ে মীমাংসা করতে পারবো না ,যা হবার আইন আদালতে হবে।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জিলু মিয়া বলে, আপোষ মীমাংসা না করলে ভবিষ্যতে এর ফল ভালো হবে না। হত্যা মামলায় মীমাংসা করতে
রাজি না হওয়ায় ক্ষেপে গিয়ে কুচক্রী জিলু মিয়া ও দুলালের ইন্ধনে জিলুর ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে
অসহায় হাসেমের নামে ধর্ষণের চেষ্টা উল্লেখ করে বারহাট্টা থানায় মামলা দায়ের করেন ।
মামলা নং -১২/২৩ ,২২/২/২০২৫ তারিখ ধারা ৯(৪)(খ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০(সংশোধিত২০২০)
অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য জিলুর মেয়েকে দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা রুজু করে।যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায় বলে দাবি করেন হাসেমের স্ত্রী মোসাঃ সাবিকুন্নাহার। ভুক্তভোগী হাসেমের স্ত্রী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করে জানান , ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পেতে আমি যতাযত কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।এ সময় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের পক্ষে
হাসেমের ছেলে তাওহিদ, সাহতা গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে আনোয়ার,জানেমুল বলেন , আমরা
জানি হাসেম মিয়া একজন সহজ, সরল ,ও নিরিহ গরীব মানুষ । হত্যা মামলায় আপোষ নিষ্পত্তি না করাতেই জিলু মিয়া হাসেমের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দায়ের করে। উল্লেখ্য যে,হাসেম মিয়ার আপন ভাতিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামী আমিরুলের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃ সুরমা আক্তার কর্তৃক স্বামী আমিরুলকে ঢাকায় প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে দূর্বিত্তদের মাধ্যমে খুন করেয়েছিল।আর জিলু মিয়া সেই আসামিদের পক্ষে থেকে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য নিজের চাচাতো ভাইকে মামলা আপোষ নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষ ভাবে তাগিদ করতে থাকে।কোন অবস্থাতেই হত্যা মামলার বাদী হাসেমকে আপোষে না নিতে পেরে প্রতিহিংসায় তেলে বেগুনে জ্বলতে থাকে ।কোন উপায়ান্তর না দেখে গত ১৭/২/২০২৫ইং সুকৌশলে অবুঝ শিশু বাচ্চা
কে শিখিয়ে ,বলিয়ে মোবাইলে রেকর্ডিং করে থানায় গিয়ে তা প্রশাসন কে অবহিত করে।ঘটনার উপযুক্ত প্রমাণাদি না থাকায় বারহাট্রা থানা প্রশাসন মামলা করতে সন্দিহান পোষন করলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শরনাপন্ন হন চতুর এই জিলু মিয়া। সুযোগ্য সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে আসামীর বাড়ীতে গিয়ে তাকে না পেয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে থানা প্রশাসনকে মামলা নেওয়ার কথা বলে।তারি পরিপ্রেক্ষিতে ২২/২/২০২৫ ইং বারহাট্রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল হাসান আসামি হাসেমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন । উল্লেখ্য হাসেম মিয়া তার ভাতিজা আমিরুল হত্যা মামলার বাদী । তারা আরো জানান ,এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানায় ভুক্তভোগী হাসেমের স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে হাসেম মিয়া নিজেকে নির্দোষ জেনে বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করেন। বারহাট্রা থানার ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় আসামী হয়ে হাসেম মিয়া (৫৭)অসুস্থ শরীর নিয়ে জেল হাজতে আছে ।এমতাবস্থায় তার স্ত্রী যতাযত কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। ভুক্তভোগী হাসেমের স্ত্রী আরোও বলেন,সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে এবং এই ঘটনার উপযুক্ত প্রমাণাদি নেই বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন ।