০১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে ৯৬ কেজি গাঁজা গায়েব করার কান্ডে, পুলিশের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণ

নরসিংদীতে গাঁজা উদ্ধার হলেও শেষ পর্যন্ত তার আর কোনো হদিস নেই! আর এই ‘গাঁজা গায়েব কাণ্ডে’ জড়িত ছিলেন পুলিশেরই ছয় সদস্য—এমনটাই জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, ৯৬ কেজি গাঁজা গায়েবের ঘটনায় দায়ী ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
তদন্তে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন, মালখানার ইনচার্জ এসআই শামিনুর রহমান এবং আরও তিন পুলিশ সদস্য।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার কোনও অংশ আদালতের মালখানায় জমা না দিয়ে অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
পুলিশ সুপার বলেন, “প্রতিবেদনটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ শিবপুর উপজেলার একটি লটকন বাগান থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জেলা ডিবি পুলিশ। তবে সেই গাঁজার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। বরং অভিযোগ ওঠে, সেটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে।
ঘটনা গণমাধ্যমে আসতেই তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। পরে ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে পরে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বিএনপি নেতা বহিষ্কার ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

নরসিংদীতে ৯৬ কেজি গাঁজা গায়েব করার কান্ডে, পুলিশের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
নরসিংদীতে গাঁজা উদ্ধার হলেও শেষ পর্যন্ত তার আর কোনো হদিস নেই! আর এই ‘গাঁজা গায়েব কাণ্ডে’ জড়িত ছিলেন পুলিশেরই ছয় সদস্য—এমনটাই জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, ৯৬ কেজি গাঁজা গায়েবের ঘটনায় দায়ী ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহর নেতৃত্বে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
তদন্তে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন, মালখানার ইনচার্জ এসআই শামিনুর রহমান এবং আরও তিন পুলিশ সদস্য।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার কোনও অংশ আদালতের মালখানায় জমা না দিয়ে অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
পুলিশ সুপার বলেন, “প্রতিবেদনটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ শিবপুর উপজেলার একটি লটকন বাগান থেকে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে জেলা ডিবি পুলিশ। তবে সেই গাঁজার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। বরং অভিযোগ ওঠে, সেটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে।
ঘটনা গণমাধ্যমে আসতেই তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। পরে ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে পরে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়।