ফিলিস্তিনকে ধ্বংস স্তুপে পরিণত করেছে দখলদার ইসরাইল। প্রতিদিন অসংখ্য নিরীহ নারী ও শিশু নির্মমভাবে প্রাণ হারাচ্ছে। গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের জাগরণ এখন সময়ের দাবি, বিশ্ব বিবেক জেগে উঠো। বিশ্ব বিবেক আজ কেন নির্বিকার উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, কোথায় সেই মানবাধিকার? যেখানে শিশু, নারী, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘ, মুসলিম বিশ্ব, মানবাধিকারের ঝান্ডাধারীরা বিশ্বশক্তি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অনতিবিলম্বে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহরের আলফাত স্কয়ারে ফিলিস্থিনিদের উপর ইসরাইলের আগ্রাসন ও বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে জেলার প্রগতিশীল সংগঠন সমূহের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে ইসরাইল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিভিন্ন দেশে গণহত্যায় সহযোগিতা করে থাকে। আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পাকিস্তান বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। গণতন্ত্র, মানবাধিকারের নাম নিয়ে এরা বিভিন্ন দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকে। বিশ্বের সকল বিবেকবান রাষ্ট্রসমূহকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে হবে, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা উদীচীর সহসভাপতি রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টুর সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরীর সহ সভাপতি সুখেন্দু সেন, খেলাঘর আসরের সভাপতি বিজন সেন রায়, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য, সহসভাপতি সঞ্চিতা চৌধুরী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি পঙ্কজ কান্তি দে, খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ, জেলা সিপিবির সদস্য শাহ কামাল, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবুতাহের মিয়া, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন। এসময় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন। শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়ানহুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লালপুরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহির মিয়া, আবু বক্কর সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।