১০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে না ফেরার দেশে বাবা

পটুয়াখালীর বাউফলে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসফিয়া সকালে অসুস্থ বাবাকে রেখে কান্না করতে করতে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলেও, পরীক্ষার শেষ হওয়ার আগেই তার বাবা মাহবুবুর রহমান না-ফেরার দেশে চলে যান। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাসফিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই তার বাবা, কালিশুরী এস.এ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ স্বজনরা তাকে দ্রুত বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সাথে ছিলেন তাসফিয়াও। তবে বাবার অনুরোধে মেয়েটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে যায়। পথে তিনি নিজেই মেয়েকে নামিয়ে দিয়ে যান কেন্দ্রে। অন্যদিকে, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ভড়িপাশা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার কারণে তিনি এ বছর কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন না করে একান্তই বাবার ভূমিকা পালন করছিলেন। বাউফল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, “স্যার সবসময় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেন। আজ নিজের মেয়েকে পরীক্ষায় পাঠিয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন—এটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।” তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার, সহকর্মী, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

৫,০০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে না ফেরার দেশে বাবা

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফলে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এসএসসি পরীক্ষার্থী তাসফিয়া সকালে অসুস্থ বাবাকে রেখে কান্না করতে করতে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলেও, পরীক্ষার শেষ হওয়ার আগেই তার বাবা মাহবুবুর রহমান না-ফেরার দেশে চলে যান। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাসফিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই তার বাবা, কালিশুরী এস.এ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ স্বজনরা তাকে দ্রুত বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সাথে ছিলেন তাসফিয়াও। তবে বাবার অনুরোধে মেয়েটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে যায়। পথে তিনি নিজেই মেয়েকে নামিয়ে দিয়ে যান কেন্দ্রে। অন্যদিকে, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ভড়িপাশা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার কারণে তিনি এ বছর কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন না করে একান্তই বাবার ভূমিকা পালন করছিলেন। বাউফল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, “স্যার সবসময় ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেন। আজ নিজের মেয়েকে পরীক্ষায় পাঠিয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেলেন—এটা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।” তার এই আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার, সহকর্মী, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।