০৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করলেন ধামরাইয়ের গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানা

  • Mustafizur Rahman
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:২৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • 244
পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে  সকল শ্রেণি পেশার মানুষ দিনটি উদযাপন করে থাকেন। তবে পহেলা বৈশাখের আগের দিন প্রায় ১৪ শত পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করলেন ধামরাইয়ের ( জিডিএল) গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানা। কারখানার পক্ষ থেকে কাজের দিনেই কর্মঘণ্টা বন্ধ রেখে শ্রমিকদের মনোরঞ্জন, কাজে উৎসাহ ও বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য কে তুলে ধরে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছেন কারখানাটি। এতে কাজের ফাঁকে এমন আয়োজনে আনন্দ উদ্দীপনায় মেতে উঠেছেন কারখানার সকল শ্রমিকেরা।
রবিবার(১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড কারখানায় ব্যতিক্রমি আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।
দেখা যায়, কারখানার পক্ষ থেকে তালপাতা, পাটখড়ি, বাঁশসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে স্টল তৈরি করা হয়েছে। আর এসব স্টলে রয়েছে হাতে বানানো ছোট গরুর গাড়ি, পাখির বাসা, কাঁথা, মাছ ধরার জাল, জমি চাষের যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন পিঠাসহ বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জিনিসপত্র। এছাড়া এই আয়োজনে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে কারখানার শ্রমিকদের অংশগ্রহণেই মুখরিত হয়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক মঞ্চ। কেউ গান গেয়ে, কেউ গানের তালে নৃত্য করে মঞ্চ মাতিয়েছেন। কারখানার শ্রমিকরাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। নেই কোন পেশাদার শিল্পী গোষ্ঠী।
কারখানা শ্রমিক ওমর আলী বলেন, আমরা সকাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ করছি। কারখানা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আমাদের বিনোদনের এমন ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে জিডিএল কারখানার মালিক পক্ষ এমন সুযোগ করে দিয়েছেন। সকলে মিলে আনন্দ উপভোগ করছি।
শ্রমিকদের নিয়ে এমন আয়োজনের উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন কারখানার কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা জুয়েল। তিনি বলেন, আমরা মালিক শ্রমিক সকলে মিলে একটি পরিবার। সারা বছর কাজের চাপে বিনোদনের কোন সুযোগ থাকে না। তাই মালিকপক্ষ আমাদের সকলকে নিয়ে পহেলা বৈশাখকে উদযাপনের এমন সুযোগ করে দিয়েছেন।
পহেলা বৈশাখের আগের দিন কারখানায় সাধারণত  শ্রমিকদের সারাদিন কাজ করার কথা থাকলেও কর্মঘণ্টা বন্ধ রেখে কারখানা কতৃপক্ষের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে আনন্দিত কারখানার সকল শ্রমিকেরাই। কারখানার এমন আয়োজনে শ্রমিকদের কাজে আরো উৎসাহ বাড়ার কথা জানান শ্রমিকরা।
হাড়িয়ে যাওয়া বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কে তুলে ধরে কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের একটু আনন্দ দেয়াই মূল উদ্দেশ্য বলে জানান গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালিদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য আমরা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছি। আমাদের কারখানায় নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের নিয়ে আজকে একটি ভিন্ন ধর্মী অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছি। কারণ শ্রমিক ভাইয়েরা আমাদের একটি অংশ। পহেলা বৈশাখ কারখানা বন্ধ থাকবে বিধায় আজকে কর্মঘন্টা বন্ধ করে আমরা পহেলা বৈশাখের আনন্দকে উপভোগ করছি। পোশাক কারখানাগুলোতে সঠিক সময়ে শ্রমিকদের বেতন প্রধানের পাশাপাশি বছরের বিশেষ দিনগুলোতে এমন আয়োজন প্রায় সকল কারখানায় করা হলে শ্রমিকেরা কাজে উৎসাহ বাড়বে বলে জানান তিনি।
কারখানা শ্রমিকদের নিয়ে ভিন্ন ধর্মী আয়োজন শেষে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কোটালীপাড়ায় কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত

পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করলেন ধামরাইয়ের গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:২৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে  সকল শ্রেণি পেশার মানুষ দিনটি উদযাপন করে থাকেন। তবে পহেলা বৈশাখের আগের দিন প্রায় ১৪ শত পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করলেন ধামরাইয়ের ( জিডিএল) গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানা। কারখানার পক্ষ থেকে কাজের দিনেই কর্মঘণ্টা বন্ধ রেখে শ্রমিকদের মনোরঞ্জন, কাজে উৎসাহ ও বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য কে তুলে ধরে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছেন কারখানাটি। এতে কাজের ফাঁকে এমন আয়োজনে আনন্দ উদ্দীপনায় মেতে উঠেছেন কারখানার সকল শ্রমিকেরা।
রবিবার(১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড কারখানায় ব্যতিক্রমি আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।
দেখা যায়, কারখানার পক্ষ থেকে তালপাতা, পাটখড়ি, বাঁশসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে স্টল তৈরি করা হয়েছে। আর এসব স্টলে রয়েছে হাতে বানানো ছোট গরুর গাড়ি, পাখির বাসা, কাঁথা, মাছ ধরার জাল, জমি চাষের যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন পিঠাসহ বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জিনিসপত্র। এছাড়া এই আয়োজনে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে কারখানার শ্রমিকদের অংশগ্রহণেই মুখরিত হয়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক মঞ্চ। কেউ গান গেয়ে, কেউ গানের তালে নৃত্য করে মঞ্চ মাতিয়েছেন। কারখানার শ্রমিকরাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। নেই কোন পেশাদার শিল্পী গোষ্ঠী।
কারখানা শ্রমিক ওমর আলী বলেন, আমরা সকাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ করছি। কারখানা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ আমাদের বিনোদনের এমন ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে জিডিএল কারখানার মালিক পক্ষ এমন সুযোগ করে দিয়েছেন। সকলে মিলে আনন্দ উপভোগ করছি।
শ্রমিকদের নিয়ে এমন আয়োজনের উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন কারখানার কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা জুয়েল। তিনি বলেন, আমরা মালিক শ্রমিক সকলে মিলে একটি পরিবার। সারা বছর কাজের চাপে বিনোদনের কোন সুযোগ থাকে না। তাই মালিকপক্ষ আমাদের সকলকে নিয়ে পহেলা বৈশাখকে উদযাপনের এমন সুযোগ করে দিয়েছেন।
পহেলা বৈশাখের আগের দিন কারখানায় সাধারণত  শ্রমিকদের সারাদিন কাজ করার কথা থাকলেও কর্মঘণ্টা বন্ধ রেখে কারখানা কতৃপক্ষের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনে আনন্দিত কারখানার সকল শ্রমিকেরাই। কারখানার এমন আয়োজনে শ্রমিকদের কাজে আরো উৎসাহ বাড়ার কথা জানান শ্রমিকরা।
হাড়িয়ে যাওয়া বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য কে তুলে ধরে কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের একটু আনন্দ দেয়াই মূল উদ্দেশ্য বলে জানান গ্ল্যামার ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালিদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য আমরা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছি। আমাদের কারখানায় নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের নিয়ে আজকে একটি ভিন্ন ধর্মী অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছি। কারণ শ্রমিক ভাইয়েরা আমাদের একটি অংশ। পহেলা বৈশাখ কারখানা বন্ধ থাকবে বিধায় আজকে কর্মঘন্টা বন্ধ করে আমরা পহেলা বৈশাখের আনন্দকে উপভোগ করছি। পোশাক কারখানাগুলোতে সঠিক সময়ে শ্রমিকদের বেতন প্রধানের পাশাপাশি বছরের বিশেষ দিনগুলোতে এমন আয়োজন প্রায় সকল কারখানায় করা হলে শ্রমিকেরা কাজে উৎসাহ বাড়বে বলে জানান তিনি।
কারখানা শ্রমিকদের নিয়ে ভিন্ন ধর্মী আয়োজন শেষে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।