
আজ বেলা ৩ঃ৩০ মিনিটে এই মানববন্ধন এর আয়োজন করেন পঞ্চগড়ের সর্বস্তরের জনগণ, এই মানববন্ধনে তুলে ধরেন পঞ্চগড় এর সুবিধা ও অসুবিধার কথা চীন সরকারের সহায়তায় পঞ্চগড়ে চীন-মৈত্রী হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও বর্তমানে তা অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা চলছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত পঞ্চগড়বাসীর সঙ্গে চরম অবিচার এবং সরকারের হঠকারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। পঞ্চগড়বাসী এই অন্যায় মেনে নেবে না। এই প্রেক্ষাপটে, পঞ্চগড়বাসী ১০০০ শয্যার হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে। স্বাস্থ্যসেবার ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে এই দাবি আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। রংপুরে একটি উন্নত মানের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে, দিনাজপুরেও একটি ভালো মানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে, নীলফামারীতেও একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে। পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও- এ এখন পর্যন্ত কোন কোন মানেরই সরকারি বা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নেই। প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়, রংপুর এবং দিনাজপুর হতে সবচেয়ে দূরের জেলা। এ জেলায় উন্নত কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় এখানকার সহজ সরল মানুষগুলো সুচিকিৎসার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে আছেন। চীন সরকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট ১টি হাসপাতাল উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপন করা হলে পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁ জেলার মানুষ যেমন উপকৃত হবে তেমনি ভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং নেপাল থেকেও প্রচুর মানুষ চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। ফলে প্রান্তিক জেলা দুটির মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট যেমন লাঘব হবে তেমনিভাবে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের এটি কাঙ্ক্ষিত সুযোগ তৈরি হবে।