
কুষ্টিয়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ও আওয়ামী লীগ নেতা মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম র্যালীর প্রথম সাড়িতে অংশ গ্রহন করেন। সেই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে জেলা প্রশাসনের শোভাযাত্রার ব্যানারে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ব্যানারে দেখে রাজনৈতিক ও সাধারণ মহলে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তামজিদ হোসেন জনি হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত ৪২ নম্বর আসামি। তিনি কুষ্টিয়া বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও কুষ্টিয়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি হয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম বলেন, আমি আজ সকালে জেলা প্রশাসনের বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলাম। মামলার প্রমাণ রয়েছে জানালে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা আছে জানিয়েছেন। কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সুলতান মারুফ তালহা বলেন, একজন জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আমি বলব, যারাই ফ্যাসিস্টদের সহযোগীদের নিয়ে পথ চলবে, তারাই নিন্দনীয় হবে। সে, আমি হই, ডিসি হন, বিএনপি হোক আর জামায়াত হোক। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, এমনাটা কেন হলো। ব্যাপারটি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলব। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, কোনোভাবেই আমি কিছু জানি না। তিনি মামলার আসামি হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, এখানে শত শত হাজার হাজার মানুষ ছিল। তাদেরকে কন্ট্রোল করা সম্ভব না। কে কীভাবে ব্যানার ধরে সেটা তো মেইনটেইন করা যায় না। আমি তাকে চিনি না।