মোঃ নওয়াব আলী 
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশুকে ব্লেড দিয়ে কেটে গুরুতর আহত করেছে একই শ্রেণির আরেক শিশু।মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালযসূত্রে জানা যায়, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিসুর পরনের স্কাট বেঞ্চে বেধে ছিড়ে যায়। মিসু তার স্কাটটি ছেড়া দেখতে পেয়ে সে সন্দেহ করে এটি তার বান্ধবী লামিসা করেছে। পরে বিষয়টি ক্লাসের স্যারেরা খোজ খবর নিয়ে জেনে দেখে মেয়েটির স্কাট ছেড়ার সাথে লামিসার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবু ও শিক্ষকরা দুজনের মধ্যে আপোষ করে দেন।
বিদ্যালয় ছুটির পর মিশু লামিসাকে মারার জন্য পরিকল্পনা করে অন্য একজনকে দিয়ে ব্লেড কিনিয়ে নিজের কাছেই রেখে দেয় এবং পথে দাড়িয়ে থাকে। বিদ্যালয় থেকে লামিসা বের হতে দেখেই বাড়ি ফেরার পথে মিশু লামিসাকে উপর্যুপরি ব্লেডাঘাত করতে থাকে। লামিসা চিৎকার করলে মিশু নামের মেযেটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার শরিরে ক্ষত স্থানে ৮ টি সেলাই লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়।
আহত লামিসা বিনোদপুর কলেজের শিক্ষক কামরুজ্জামানের মেয়ে ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং অন্যদিকে মিশু আরএসকেএইচ ইনস্টিটিউশনের শিক্ষিকা শারমিন সুলতানার মেয়ে।
মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
মহম্মদপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: ওয়াহিদুজ্জামান বলেন বিষয় টি জেনেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
