০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে

মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখানে ,স্বামীর খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ( ১৮ ) এপ্রিল নিহতের মা আমেলা বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় তার ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গেছে গৃহশিক্ষকের সাথে প্রেমের পরকীয়ার সম্পর্কের জন্য স্ত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর আগে গত ,৬ এপ্রিল রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যক্তি খুলনা পেট্রোম্যাক্স কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। তার নাম মোঃ মতিন চোকদার ( ৩৪ ) তিনি সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম চোকদারের ছেলে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মৃত মতিন চোকদারের  স্ত্রী শাহিদা আক্তারের সাথে সিরাজদিখান বড়ইহাজী আশরাফুল উলুম ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ মাজহারুল ইসলামের পরকীয়ার সম্পর্ক সহ নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। গত 6 এপ্রিল খুলনা থেকে বাড়ি আসলে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ে মতিন। কোন সারা শব্দ না পেয়ে তার পরিবারের সকলকে বিষয়টি জানান। ওই রাতেই তাকে নিমতলা জনসেবা হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মতিন চোকদারকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পরিবার আরো জানান, পুত্রবধু শাহিদা আক্তার ভাত আর ফিন্নি (পায়েস) সাথে বিষ জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খেতে দেয় নিহত মতিনকে । এতে সামান্য সন্দেহ হলেও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি । খাওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পর থেকেই পেটে বুকে নানান যন্ত্রনা শুরু হয়। এরপর মতিন চোকদার ঘুমিয়ে পড়ে। নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চোকদার, মোহাম্মদ বোরহান চোকদার, মোঃ নাদিম চোকদার,ও প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খুলনায় ছিলেন মতিন। গত এপ্রিল মাসে এলাকায় ফিরে আসলে স্ত্রী শাহিদা আক্তারের ( ২৬ ) সঙ্গে শিক্ষকের পরকীয়ার কারণে বিরোত দেখা দেয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। নিহতের মৃত্যুর দু’দিন আগে তাকে বাড়িতে আবারো ফিরিয়ে আনা হয়। নিহত মতিন চোকদারের ভাইদের অভিযোগ। ঘটনার দিন গত রাতে স্ত্রী শাহিদা আক্তার, খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে বাড়িতে মারা যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে নিমতলা জনসেবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) শাহেদ আলম মামুন বলেন,বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে  মৃত্যুর প্রায় ১৫ দিন পর এসে এখন হত্যার অভিযোগ করছে নিহতের  পরিবার। আজ শুক্রবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির স্বজনরা হত্যার অভিযোগ করেছে। বাদী হয়েছে নিহতের মা আমেলা বেগম। কিন্তু লাশ দাফন করা হয়ে গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মাগুরায় রোমহর্ষক ঘটনা! জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যাচেষ্টা

মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে

পোস্ট হয়েছেঃ ০৩:০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখানে ,স্বামীর খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ( ১৮ ) এপ্রিল নিহতের মা আমেলা বেগম বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় তার ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গেছে গৃহশিক্ষকের সাথে প্রেমের পরকীয়ার সম্পর্কের জন্য স্ত্রী এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর আগে গত ,৬ এপ্রিল রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যক্তি খুলনা পেট্রোম্যাক্স কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন। তার নাম মোঃ মতিন চোকদার ( ৩৪ ) তিনি সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম চোকদারের ছেলে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মৃত মতিন চোকদারের  স্ত্রী শাহিদা আক্তারের সাথে সিরাজদিখান বড়ইহাজী আশরাফুল উলুম ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ মাজহারুল ইসলামের পরকীয়ার সম্পর্ক সহ নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। গত 6 এপ্রিল খুলনা থেকে বাড়ি আসলে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ে মতিন। কোন সারা শব্দ না পেয়ে তার পরিবারের সকলকে বিষয়টি জানান। ওই রাতেই তাকে নিমতলা জনসেবা হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মতিন চোকদারকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পরিবার আরো জানান, পুত্রবধু শাহিদা আক্তার ভাত আর ফিন্নি (পায়েস) সাথে বিষ জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খেতে দেয় নিহত মতিনকে । এতে সামান্য সন্দেহ হলেও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি । খাওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পর থেকেই পেটে বুকে নানান যন্ত্রনা শুরু হয়। এরপর মতিন চোকদার ঘুমিয়ে পড়ে। নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চোকদার, মোহাম্মদ বোরহান চোকদার, মোঃ নাদিম চোকদার,ও প্রতিবেশীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে খুলনায় ছিলেন মতিন। গত এপ্রিল মাসে এলাকায় ফিরে আসলে স্ত্রী শাহিদা আক্তারের ( ২৬ ) সঙ্গে শিক্ষকের পরকীয়ার কারণে বিরোত দেখা দেয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। নিহতের মৃত্যুর দু’দিন আগে তাকে বাড়িতে আবারো ফিরিয়ে আনা হয়। নিহত মতিন চোকদারের ভাইদের অভিযোগ। ঘটনার দিন গত রাতে স্ত্রী শাহিদা আক্তার, খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ায়। এর কিছুক্ষণ পর রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে বাড়িতে মারা যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে নিমতলা জনসেবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) শাহেদ আলম মামুন বলেন,বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে  মৃত্যুর প্রায় ১৫ দিন পর এসে এখন হত্যার অভিযোগ করছে নিহতের  পরিবার। আজ শুক্রবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির স্বজনরা হত্যার অভিযোগ করেছে। বাদী হয়েছে নিহতের মা আমেলা বেগম। কিন্তু লাশ দাফন করা হয়ে গেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।