০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন ” মা “

মোবাইল ফোন কিনতে নিজের চার মাসের ছেলে সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন এক গর্ভধারিণী মা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায়। জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে ৪ মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল ফোন, নাকের নথ, নূপুর, ও জুতা কিনলেন লাবনী আক্তার লিজা নামে এক মা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম মধুপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন মধুপুর থানা পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে শিশুটি উদ্ধারের পর শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় থানা পুলিশ। শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলা পৌর শহরের পুন্ডুরা শেওড়াতলা এলাকার আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে গোপালপুর উপজেলার বলাটা গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার লিজার ২ বছর আগে বিয়ে হয়। এর আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের অসচ্ছলতায় তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এর মধ্যেই গত ৪ মাস আগে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে তামিমের জন্মের পর থেকে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী আমার ছেলে তামিমকে নিয়ে লাবনীর বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে বেড়াতে যায়। কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী দুর্ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তার কয়েক দিন পর আবার ফোন করে বলি তামিমের দাদা অসুস্থ। ছেলেকে নিয়ে আসো। সে তামিমকে দেখতে চাচ্ছে। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি। তিনি আরও বলেন, অনেক চেষ্টার পর গত বৃহস্পতিবার সন্তান বিক্রি করে দেয়ার খবর পাই। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে ধরে বাড়ি নিয়ে আসি। এ সময় সে তামিমকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে বিষয়টি মধুপুর থানা পুলিশকে জানালে শিশুকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফেরত দেয়। শিশু তামিমের মা লাবনী আক্তার লিজা বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামের একজনের সহযোগিতায় গত ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় আমার ছেলে তামিমকে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে মোবাইল, নূপুর ও নাকের নথ কিনছি। এইডা আমার ভুল হয়েছে। নিজ সন্তানকে বিক্রি করে আমি অনুতপ্ত। মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বলেন, গত বৃহস্পতিবার লাবনী নামের এক মা তার ৪ মাসের সন্তানকে বিক্রি করেছে বলে আমাদেরকে তার স্বামী জানায়। পরে ওসি তদন্ত রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে তাদের কাছে বুঝিয়ে ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দিতে গিয়ে খুন হলেন মামা

নিজের সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল কিনলেন ” মা “

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:১৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
মোবাইল ফোন কিনতে নিজের চার মাসের ছেলে সন্তানকে বিক্রি করে দিলেন এক গর্ভধারিণী মা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরশহরের ৭ নং ওয়ার্ডের পুন্ডুরা সেওড়াতলা এলাকায়। জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে ৪ মাসের শিশু সন্তানকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে মোবাইল ফোন, নাকের নথ, নূপুর, ও জুতা কিনলেন লাবনী আক্তার লিজা নামে এক মা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম মধুপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে শিশুটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন মধুপুর থানা পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে শিশুটি উদ্ধারের পর শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় থানা পুলিশ। শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মধুপুর উপজেলা পৌর শহরের পুন্ডুরা শেওড়াতলা এলাকার আজম আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে গোপালপুর উপজেলার বলাটা গ্রামের লিটন মিয়ার মেয়ে লাবনী আক্তার লিজার ২ বছর আগে বিয়ে হয়। এর আগে তাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রবিউলের অসচ্ছলতায় তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এর মধ্যেই গত ৪ মাস আগে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। লাবনীর স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে তামিমের জন্মের পর থেকে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। অল্প কয়েক দিন আগে লাবনী আমার ছেলে তামিমকে নিয়ে লাবনীর বোনের বাড়ি ভূঞাপুরে বেড়াতে যায়। কয়েক দিন পর বাড়ি আসতে বললে লাবনী দুর্ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তার কয়েক দিন পর আবার ফোন করে বলি তামিমের দাদা অসুস্থ। ছেলেকে নিয়ে আসো। সে তামিমকে দেখতে চাচ্ছে। লাবনী তাতেও ফিরে আসেনি। তিনি আরও বলেন, অনেক চেষ্টার পর গত বৃহস্পতিবার সন্তান বিক্রি করে দেয়ার খবর পাই। পরে কৌশলে লাবনীকে ভূঞাপুর থেকে পাকুটিয়ায় ডেকে এনে ধরে বাড়ি নিয়ে আসি। এ সময় সে তামিমকে বিক্রি করার কথা স্বীকার করে। পরে বিষয়টি মধুপুর থানা পুলিশকে জানালে শিশুকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফেরত দেয়। শিশু তামিমের মা লাবনী আক্তার লিজা বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি মনির নামের একজনের সহযোগিতায় গত ১০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জের এক লোকের কাছে ৪০ হাজার টাকায় আমার ছেলে তামিমকে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে মোবাইল, নূপুর ও নাকের নথ কিনছি। এইডা আমার ভুল হয়েছে। নিজ সন্তানকে বিক্রি করে আমি অনুতপ্ত। মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বলেন, গত বৃহস্পতিবার লাবনী নামের এক মা তার ৪ মাসের সন্তানকে বিক্রি করেছে বলে আমাদেরকে তার স্বামী জানায়। পরে ওসি তদন্ত রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে তাদের কাছে বুঝিয়ে ।