০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলঢাকায় সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে নীরব প্রশাসন, প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার তালুক গোলনা ইউনিয়নের সাধুর বাজার মহাসড়কের পাশ থেকে কয়েক দশক পুরনো সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। গত ১৫ এপ্রিল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ধারে পড়ে আছে কাটা গাছের গুড়ি, কিছু গাছ এরইমধ্যে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, গাছ কেটে নেওয়ার পেছনে তালুক গোলনা ইউনিয়ন বন কমিটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের হাত থাকতে পারে। তবে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইমরুল মোজাক্কিন জানান, “আমি বিষয়টি দেখছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু এর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ—যদি সাধারণ কেউ একটি গাছ কাটে, তবে সঙ্গে সঙ্গে মামলা হয়; কিন্তু এখানে প্রকাশ্যে সরকারি গাছ কাটা হলেও প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব। প্রশ্ন উঠেছে—আসলে কারা এই চক্রের পেছনে এবং কেনই বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব হচ্ছে? স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “এভাবে গাছ কেটে নিতে দিতে থাকলে আগামী প্রজন্ম শুধু ছবি দেখেই প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য চিনবে।” এলাকাবাসী দুর্বৃত্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ওষুধ খাওয়া হলোনা ছেলের, ওষুধ কিনতে গিয়ে নছিমনের ধাক্কায় কৃষক বাবার মৃত্যু

জলঢাকায় সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে নীরব প্রশাসন, প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৫২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার তালুক গোলনা ইউনিয়নের সাধুর বাজার মহাসড়কের পাশ থেকে কয়েক দশক পুরনো সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। গত ১৫ এপ্রিল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ধারে পড়ে আছে কাটা গাছের গুড়ি, কিছু গাছ এরইমধ্যে তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, গাছ কেটে নেওয়ার পেছনে তালুক গোলনা ইউনিয়ন বন কমিটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের হাত থাকতে পারে। তবে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইমরুল মোজাক্কিন জানান, “আমি বিষয়টি দেখছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু এর ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ—যদি সাধারণ কেউ একটি গাছ কাটে, তবে সঙ্গে সঙ্গে মামলা হয়; কিন্তু এখানে প্রকাশ্যে সরকারি গাছ কাটা হলেও প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নীরব। প্রশ্ন উঠেছে—আসলে কারা এই চক্রের পেছনে এবং কেনই বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব হচ্ছে? স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “এভাবে গাছ কেটে নিতে দিতে থাকলে আগামী প্রজন্ম শুধু ছবি দেখেই প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য চিনবে।” এলাকাবাসী দুর্বৃত্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।