১২:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রধান সড়কে নিম্নমানের ফুটপাত নির্মাণ, জনমনে ক্ষোভ

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার  গোয়ালন্দ পৌরসভার বাজারের প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে পাকা ড্রেনের উপর নির্মিত ৯৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুটপাতের কাজের মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সিমেন্টের পরিমান একেবারে কম দিয়ে বালু বেশী দিয়ে পার্কিং টাইলস বসানোর কারণে টাইলস উঠে যাচ্ছে। এছাড়া টাইলসের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সামান্য আঘাতেই তা ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, “গোয়ালন্দ পৌরসভার আওতায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্যান্ট প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাকা ড্রেনের উপর ৯৭০ মিটার ফুটপাত এবং এর পাশাপাশি ৫৩২ মিটার আরসিসি সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করা হচ্ছে। কাজটির ঠিকাদার মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স। মোট প্রকল্পের মূল্য ৫০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৮৪ টাকা। ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া কাজের মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। যা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এমন পরিবেশ স্বচোক্ষে দেখতে গোয়ালন্দ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো, শহিদুল ইসলাম সরেজমিনে যান এবং কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ঠিকাদার মোঃ সালাউদ্দিন চৌধুরীকে পত্র দিয়ে নিম্নমানের কাজের বিষয়ে সতর্ক করেন। এসময় প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বারবার সতর্ক করা সত্বেও ঠিকাদার কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “৫৩২ মিটার আরসিসি সড়ক সম্প্রসারণের বিল বাবদ ঠিকাদারকে ১৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবে ফুটপাত নির্মাণ কাজের জন্য এখনো কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি।” এদিকে ঠিকাদার মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, “কাজ বাস্তবায়নের সময় নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছি। পৌর প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। তবে মিস্ত্রিদের ভুলের কারণে কিছু জায়গায় সিমেন্টের ব্যবহার যথাযথ হয়নি, ফলে টাইলস উঠে গেছে। দ্রুত সেগুলো মেরামত করা হবে।” গোয়ালন্দ পৌর প্রশাসক ও গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাহিদুল রহমান জানান, এই কাজটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কাজ এটি। জেলা থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে চলমান আছে। এখানে যে নিম্মমানের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়টি সংবাদ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মহাদয়কে অবগত করেছি। তিনি ঠিকাদারকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

টাঙ্গুয়ার হাওরে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার: মোবাইল কোর্টে ৫ জনকে অর্থদণ্ড

গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রধান সড়কে নিম্নমানের ফুটপাত নির্মাণ, জনমনে ক্ষোভ

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৪:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার  গোয়ালন্দ পৌরসভার বাজারের প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে পাকা ড্রেনের উপর নির্মিত ৯৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুটপাতের কাজের মান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। সিমেন্টের পরিমান একেবারে কম দিয়ে বালু বেশী দিয়ে পার্কিং টাইলস বসানোর কারণে টাইলস উঠে যাচ্ছে। এছাড়া টাইলসের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সামান্য আঘাতেই তা ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, “গোয়ালন্দ পৌরসভার আওতায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্যান্ট প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাকা ড্রেনের উপর ৯৭০ মিটার ফুটপাত এবং এর পাশাপাশি ৫৩২ মিটার আরসিসি সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করা হচ্ছে। কাজটির ঠিকাদার মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স। মোট প্রকল্পের মূল্য ৫০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৮৪ টাকা। ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া কাজের মেয়াদ ছিল ৯০ দিন। যা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এমন পরিবেশ স্বচোক্ষে দেখতে গোয়ালন্দ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো, শহিদুল ইসলাম সরেজমিনে যান এবং কাজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ঠিকাদার মোঃ সালাউদ্দিন চৌধুরীকে পত্র দিয়ে নিম্নমানের কাজের বিষয়ে সতর্ক করেন। এসময় প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বারবার সতর্ক করা সত্বেও ঠিকাদার কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “৫৩২ মিটার আরসিসি সড়ক সম্প্রসারণের বিল বাবদ ঠিকাদারকে ১৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবে ফুটপাত নির্মাণ কাজের জন্য এখনো কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি।” এদিকে ঠিকাদার মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, “কাজ বাস্তবায়নের সময় নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছি। পৌর প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। তবে মিস্ত্রিদের ভুলের কারণে কিছু জায়গায় সিমেন্টের ব্যবহার যথাযথ হয়নি, ফলে টাইলস উঠে গেছে। দ্রুত সেগুলো মেরামত করা হবে।” গোয়ালন্দ পৌর প্রশাসক ও গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাহিদুল রহমান জানান, এই কাজটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কাজ এটি। জেলা থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে চলমান আছে। এখানে যে নিম্মমানের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়টি সংবাদ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মহাদয়কে অবগত করেছি। তিনি ঠিকাদারকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন।