
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের প্রবাসীর দীর্ঘ দিনের ভোগ- দখলীয় জমিতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা ও বসতভিটায় বিদ্যমান ফলজ ও বনজ বিভিন্ন গাছগাছালি কেটে লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আবু আহমদ তারই সৎ ভাই সাবেক যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী আবু আহমদ চকরিয়া উপজেলা হারবাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কলাতলী পাড়ার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী আবু আহমদ বলেন, জহিরুল ইসলাম মানিক সম্পর্কে আমার সৎ ভাই।ওই জের ধরে তার সাথে পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমার বিরোধ ছিল।পরবর্তীতে জমি- জমাকে কেন্দ্র করে হারবাং ইউনিয়ন গ্রাম্য শালিশী আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম।একপর্যায়ে গ্রাম্য শালিশী আদালত কর্তৃক ওই বিচারের রায় আমার পক্ষে আসে। তবে মানিক সেই রায়কে অমান্য করে আমাকে বিভিন্ন মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমি একটি মামলা করি,ওই মামলায় সে ২ মাস কারাভোগ করেছে।পক্ষান্তরে জেল থেকে বের হয়ে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং প্রতিনিয়ত আমার উপর হামলা,মামলা, জান- মালসহ সর্বোপরি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে যা চরম উদ্বেগ ও হতাশার।
তিনি আরও বলেন সে বিগত সময়ে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল।কিন্তু ৫ আগষ্টের পর অভিনব কায়দায় জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী বনে গিয়ে তার হীনস্বার্থ চরিতার্থ করবার লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমার দীর্ঘ দিনের ভোগদখলকৃত জমি-জমা দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।
ভুক্তভোগী আবু আহমদ জানান, তার তিন সন্তান প্রবাসী। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার সৎ ভাই তার উপর বারংবার হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন এবং পুরাতন স্থাপনা সংস্কার করতে চাইলে বাঁধা প্রদান করে আসছে। এমনকি ভুক্তভোগী পরিবারের রোপন কৃত গাছগাছালি কেটে নিয়ে যান।এতে প্রায় ১,৫০,০০০ (কথায়: এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম মানিকের কাছ মুঠোফোনে প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী পরিবার।
এ.এম. আইয়ুব 



















