০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপির ভূল মনোনয়নে ভিপি আইনুল হকের ভরাডুবির আশংকা

  • প্রতিনিধির নাম
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 1764
৬৪ সিরাজগঞ্জ -৩ আসনটি রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গার একটি  অংশ নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে। সিরাজগঞ্জ -৩ রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গা আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ভিপি আইনুল হককে ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্য দিকে জামায়াতে ইসলামী যাকে হিসেবে ঘোষণা করেছে তিনি কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য, প্রফেসর ড আব্দুস সামাদ আকন্দ। বিএনপি থেকে  যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গার ৩ মনোনয়ন বঞ্চিত প্রত্যাশী, সাধারণ মানুষ ও তাদের কর্মী সমর্থকরা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে ভিপি আইনুল হকের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল চেয়ে রিভিউ আবেদন করেছেন এবং তাদের কর্মী সমর্থক ও সাধারন মানুষ মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিভিন্নভাবে আন্দোলন সংগ্রাম  করছেন। ভিপি আইনুল হকের সমাবেশে ও বিভিন্ন জায়গায় প্রচার প্রচারণার সময় তৃনমুলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের তেমন একটা সাড়া নেই। মনে হচ্ছে রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গা আসনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ঝিমিয়ে পড়েছে। তাই বিএনপি সমৃদ্ধ ভোটব্যাংক থাকলেও ঐক্যের ঘাটতি কাল হতে পারে দলটির।
 ভিপি আইনুল হক ও তার কর্মী সমর্থকরা মনোনয়ন বঞ্চিত ৩ প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের সাথে খারাপ আচরণ ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করে বক্তব্য প্রদান করে যাচ্ছেন। ঐক্য করতে ভিপি আইনুল হক পুরোপুরি ব্যর্থ। এতে ভোটের মাঠে প্রভাব পড়বে। যার কারনে এ আসনে বিগত দিনের তুলনায় জামায়াতে ইসলামীর ভোট ও জনপ্রিয়তা দুটোই বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। যোগ্য প্রার্থী মনোনীত না করায় এতে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা জানিয়েছেন যাকে মনোনীত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি,দখলদারিত্ব, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে ভিপি আইনুল হকের সম্পৃক্ততা। যার কারনে তাকে দল ও সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। এমন নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ ব্যাপক ক্ষুদ্ধ।
তারা দলের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী ভিপি আইনুল হকের মনোনয়ন বাতিল করে পূর্ণ তদন্তের মাধ্যমে যোগ্য, জনপ্রিয় ও ক্লিন ইমেজের তরুণ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তারা আরো দাবি জানিয়েছেন যদি হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান। তবে যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের নেতাকে মনোনয়ন দেন। অন্যথায় জামায়াতে ইসলামী এই আসনটিতে ব্যাপক ভোটে বিজয় লাভ করবে। ভিপি আইনুল হকের তাড়াশে তেমন কোন ভোট ব্যাংক নেই। তিনি শুধুমাত্র রায়গঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীক রাজনীতি করেছেন। তাই এখানে এমন একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হোক যার রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গা সব জায়গা তেই ভোটের প্রভাব রয়েছে।
গতকাল বিকালে তাড়াশ ও রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কথা হয়েছে বিভিন্ন ভোটারের সাথে তারা জানিয়েছেন, যাকে মনোনীত করা হয়েছে তাকে আমরা কোনদিন দেখি নাই এবং চিনিও না। তাছাড়া আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছি তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, চাঁদাবাজি,দখলদারিত্ব, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তাই আমাদের তৃনমূলের চাওয়া তার মনোনয়ন বাতিল করা হোক  আমরা চাই ক্লিন ইমেজের নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তাহলেই এই আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। অন্যথায় জামায়াতে ইসলামী ব্যাপক ভোটে বিজয় লাভ করবে।
তাড়াশের বারুহাস ইউনিয়নের সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান সাবেক চার বারের এমপি মরহুম আব্দুল মান্নান তালুকদারকে আমরা বাব বার ভোট দিয়েছি। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ও একজন ভালো নেতা ছিলেন। তার মতই  একজন জনপ্রিয় ক্লিন ইমেজের নেতা আমরা চাই।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২; ভোলার ব্যাংকের হাটে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১ জন আটক।

সিরাজগঞ্জ ৩ আসনে বিএনপির ভূল মনোনয়নে ভিপি আইনুল হকের ভরাডুবির আশংকা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
৬৪ সিরাজগঞ্জ -৩ আসনটি রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গার একটি  অংশ নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে। সিরাজগঞ্জ -৩ রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গা আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ভিপি আইনুল হককে ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্য দিকে জামায়াতে ইসলামী যাকে হিসেবে ঘোষণা করেছে তিনি কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য, প্রফেসর ড আব্দুস সামাদ আকন্দ। বিএনপি থেকে  যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তাকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গার ৩ মনোনয়ন বঞ্চিত প্রত্যাশী, সাধারণ মানুষ ও তাদের কর্মী সমর্থকরা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে ভিপি আইনুল হকের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল চেয়ে রিভিউ আবেদন করেছেন এবং তাদের কর্মী সমর্থক ও সাধারন মানুষ মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিভিন্নভাবে আন্দোলন সংগ্রাম  করছেন। ভিপি আইনুল হকের সমাবেশে ও বিভিন্ন জায়গায় প্রচার প্রচারণার সময় তৃনমুলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের তেমন একটা সাড়া নেই। মনে হচ্ছে রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গা আসনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ঝিমিয়ে পড়েছে। তাই বিএনপি সমৃদ্ধ ভোটব্যাংক থাকলেও ঐক্যের ঘাটতি কাল হতে পারে দলটির।
 ভিপি আইনুল হক ও তার কর্মী সমর্থকরা মনোনয়ন বঞ্চিত ৩ প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের সাথে খারাপ আচরণ ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করে বক্তব্য প্রদান করে যাচ্ছেন। ঐক্য করতে ভিপি আইনুল হক পুরোপুরি ব্যর্থ। এতে ভোটের মাঠে প্রভাব পড়বে। যার কারনে এ আসনে বিগত দিনের তুলনায় জামায়াতে ইসলামীর ভোট ও জনপ্রিয়তা দুটোই বেড়েছে। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। যোগ্য প্রার্থী মনোনীত না করায় এতে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা জানিয়েছেন যাকে মনোনীত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি,দখলদারিত্ব, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে ভিপি আইনুল হকের সম্পৃক্ততা। যার কারনে তাকে দল ও সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। এমন নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ ব্যাপক ক্ষুদ্ধ।
তারা দলের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী ভিপি আইনুল হকের মনোনয়ন বাতিল করে পূর্ণ তদন্তের মাধ্যমে যোগ্য, জনপ্রিয় ও ক্লিন ইমেজের তরুণ নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তারা আরো দাবি জানিয়েছেন যদি হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চান। তবে যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের নেতাকে মনোনয়ন দেন। অন্যথায় জামায়াতে ইসলামী এই আসনটিতে ব্যাপক ভোটে বিজয় লাভ করবে। ভিপি আইনুল হকের তাড়াশে তেমন কোন ভোট ব্যাংক নেই। তিনি শুধুমাত্র রায়গঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রীক রাজনীতি করেছেন। তাই এখানে এমন একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হোক যার রায়গঞ্জ তাড়াশ সলঙ্গা সব জায়গা তেই ভোটের প্রভাব রয়েছে।
গতকাল বিকালে তাড়াশ ও রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কথা হয়েছে বিভিন্ন ভোটারের সাথে তারা জানিয়েছেন, যাকে মনোনীত করা হয়েছে তাকে আমরা কোনদিন দেখি নাই এবং চিনিও না। তাছাড়া আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছি তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, চাঁদাবাজি,দখলদারিত্ব, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তাই আমাদের তৃনমূলের চাওয়া তার মনোনয়ন বাতিল করা হোক  আমরা চাই ক্লিন ইমেজের নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তাহলেই এই আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। অন্যথায় জামায়াতে ইসলামী ব্যাপক ভোটে বিজয় লাভ করবে।
তাড়াশের বারুহাস ইউনিয়নের সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান সাবেক চার বারের এমপি মরহুম আব্দুল মান্নান তালুকদারকে আমরা বাব বার ভোট দিয়েছি। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ও একজন ভালো নেতা ছিলেন। তার মতই  একজন জনপ্রিয় ক্লিন ইমেজের নেতা আমরা চাই।