
আলোকিত মানুষ তৈরির কারিগর শিক্ষক নীল মোহন রায়ের ৪৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শিক্ষকতার মহান পেশায় তিনি নিজেকে নিয়োজিত করে সততা, নৈতিকতা ও সুশিক্ষা শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন।
সেই সময় গ্রামাঞ্চলে মানুষের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কম ছিল। তিনি তখন মানুষকে পড়াশোনার করার উৎসাহ দিয়েছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও সমাজ সেবক।
নীল মোহন রায়ের ৪৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী শুক্রবার পালিত হয়েছে। মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে গীতা পাঠ, মন্দিরে ভোগ ও প্রসাদ বিতরন করা হয়েছে। ১৯৮২ সালে ১০ অক্টোবর গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের গোলয়া গ্রামে তিনি মৃত্য বরন করেন।
শিক্ষক নীল মোহন রায় বড়ই বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবে তিনি সুনামের সাথে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন । বড়ই বাড়ি, গোলয়া, ডাকুরাই, কোন্দাঘাটা, বোয়ালীসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সকালে বাড়িতে ভীড় করত। সে সময় চিকিৎসা সেবা গ্রামাঞ্চলে উন্নত ছিল না। তার চিকিৎসা সেবায় শিশুদের ঠান্ডাসহ বিভিন্ন রোগের ঔষধ খেয়ে অনেকেই ভালো হয়েছেন।
শিক্ষক নীল মোহন রায়ের তিন ছেলে, তিন মেয়ে। এ পরিবারে শিশু ছাড়া গ্যাজুয়েশন ডিগ্রির নিচে কেউ নেই । একই পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাই পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। একই বাড়িতে দুই বোন এম বি বি এস ডাক্তার । এক ছেলে ও দুই ছেলের বৌ শিক্ষকতা করেন। মেয়ের জামাইরা প্রকৌশলী, শিক্ষক ও চাকরিজীবি। ছেলের মেয়ের স্বামী ম্যাজিস্ট্রেট,এমবিবিএস ডাক্তার। শিক্ষক হিসেবে তিনি পরিবার ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
শিক্ষক নীল মোহন রায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে স্হানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মী, সমাজ সেবক, এলাকার মানুষ , প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি আজ বেঁচে নেই তবুও মানুষের অন্তরে বেঁচে আছেন ও থাকবেন।