০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবীনগরে অটোরিক্সার- ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরবাসী অনুমোদনহীন ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার জন্য ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে ২৭৩টি ইজিবাইকের অনুমোদন থাকলেও প্রতিদিন চার গুণের ও বেশি ইজি বাইক- অটোরিক্সা চলাচল করে। অভিযোগ রয়েছে এ সব লাইসেন্স বিহীন রিক্সার কারণে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। পৌর সদরে চলাচলকারী অটোরিক্সার পেছনে পৌরসভার নম্বর প্লেটের পরিবর্তে দেখা যায় বিভিন্ন মালিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার। এ সব গাড়ির অদক্ষ চালকরা যেখানে- সেখানে গাড়ি রেখে যাত্রী ওঠানামা করান।
 এ ছাড়াও রাস্তার ওপর মোটর সাইকেল পার্কিং ও ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী দোকানের কারণে পুরো শহর স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলেন- শহরের রাস্তা গুলো এমনিতেই সরু। তার ওপর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চার গুণ বেশি ইজিবাইক চলাচলের কারণে দিনের বেলায় শহরে হাঁটাচলা করাও কঠিন হয়ে পড়ে। সরজমিনে পৌর শহরে দেখা যায়- প্রতিদিনই কোর্ট রোড, সালাম রোড, থানা গেইট, লঞ্চঘাট, ডাকবাংলোর সামনে, আলিয়াবাদ গোল চত্বর ও কোনাঘাট মোড় এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে শিক্ষার্থীসহ নবীনগর বাজারে আসা মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মান্নান মিয়া নামে এক অটোরিক্সার চালক বলেন- “শহরে এখন কোনো শৃঙ্খলা নাই। যার যেখানে খুশি সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করান”।
চার নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাউছার আহম্মেদ বলেন- “শহরের যানজট দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেখানে-সেখানে ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে”। আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা কামাল মিয়া জানান- সড়কের তুলনায় শহরে যানবাহন বেশি চলাচল করে। এ ছাড়া অটোরিক্সার চালকরা যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করেন। এ সব কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কয়েকজন আনসার / চৌকিদার পৌরসড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে গাড়ির তীব্র চাপের কারণে তারা যানজট নিরসন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাজিব চৌধুরী বলেন- “সমস্যা চিহ্নিত করে যানজট নিরসন করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই শহরের যানজট নিরসন হবে”।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নবীনগরে অটোরিক্সার- ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য

নবীনগরে অটোরিক্সার- ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরবাসী অনুমোদনহীন ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার জন্য ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে ২৭৩টি ইজিবাইকের অনুমোদন থাকলেও প্রতিদিন চার গুণের ও বেশি ইজি বাইক- অটোরিক্সা চলাচল করে। অভিযোগ রয়েছে এ সব লাইসেন্স বিহীন রিক্সার কারণে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। পৌর সদরে চলাচলকারী অটোরিক্সার পেছনে পৌরসভার নম্বর প্লেটের পরিবর্তে দেখা যায় বিভিন্ন মালিকের নাম ও মোবাইল নাম্বার। এ সব গাড়ির অদক্ষ চালকরা যেখানে- সেখানে গাড়ি রেখে যাত্রী ওঠানামা করান।
 এ ছাড়াও রাস্তার ওপর মোটর সাইকেল পার্কিং ও ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী দোকানের কারণে পুরো শহর স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলেন- শহরের রাস্তা গুলো এমনিতেই সরু। তার ওপর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চার গুণ বেশি ইজিবাইক চলাচলের কারণে দিনের বেলায় শহরে হাঁটাচলা করাও কঠিন হয়ে পড়ে। সরজমিনে পৌর শহরে দেখা যায়- প্রতিদিনই কোর্ট রোড, সালাম রোড, থানা গেইট, লঞ্চঘাট, ডাকবাংলোর সামনে, আলিয়াবাদ গোল চত্বর ও কোনাঘাট মোড় এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে শিক্ষার্থীসহ নবীনগর বাজারে আসা মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মান্নান মিয়া নামে এক অটোরিক্সার চালক বলেন- “শহরে এখন কোনো শৃঙ্খলা নাই। যার যেখানে খুশি সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করান”।
চার নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাউছার আহম্মেদ বলেন- “শহরের যানজট দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেখানে-সেখানে ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকার কারণে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে”। আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা কামাল মিয়া জানান- সড়কের তুলনায় শহরে যানবাহন বেশি চলাচল করে। এ ছাড়া অটোরিক্সার চালকরা যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করেন। এ সব কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে কয়েকজন আনসার / চৌকিদার পৌরসড়কে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে গাড়ির তীব্র চাপের কারণে তারা যানজট নিরসন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রাজিব চৌধুরী বলেন- “সমস্যা চিহ্নিত করে যানজট নিরসন করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই শহরের যানজট নিরসন হবে”।