
ফরিদপুর ও কুমিল্লা নামে দুইটি নতুন বিভাগ করার প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।ফরিদপুর, মাদারীপুর,শরিয়তপুর,গোপালগঞ্জ এবং রাজবাড়ী অন্তর্ভুক্ত করে ফরিদপুর বিভাগ নাম প্রস্তাব করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।এই প্রস্তাবনার ফলে মাদারীপুরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।ফরিদপুর বিভাগকে কেউ কেউ যেমন স্বাগত জানাচ্ছে তেমনি কিছুটা অসন্তোষও পরিলক্ষিত হয়।ফরিদপুর বিভাগ নিয়ে আলাপকালে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষক বলেন,”মাদারীপুর ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত যা বাংলাদেশের রাজধানী শহর।পদ্মা সেতু হওয়ায় মাদারীপুরবাসীর যোগাযোগ ফরিদপুর অপেক্ষা ঢাকার সাথে সহজ ও আরামদায়ক।শিক্ষা,চিকিৎসা,কেনাকাটাসহ যে কোনো প্রয়োজনে যে কোনো কাজের জন্য সহজেই ঢাকা যাওয়া যায়।সবচেয়ে বড় কথা হলো রাজধানী ছেড়ে কেন অনুন্নত একটা জেলার অধিনস্থ হবো”। বিভিন্ন শেনি পেশার মানুয়ের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা ফরিদপুর বিভাগ হোক তাতে আপত্তি নাই তবে মাদারীপুর জেলা ঢাকা বিভাগেই যেন অন্তর্ভুক্ত থাকে।দিনমজুর শ্রেনির কেউ কেউ মনে করে বিভাগ কোথায় হলো সেটা নিয়া তাদের মাথাব্যাথা নেই, তারা চায় জেলার উন্নয়ন।বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেও মাদারীপুরকে ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত করায় বিভিন্ন পোষ্ট শেয়ারের মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।তবে কেউ কেউ মাদারীপুর জেলাকে ফরিদপুরের অন্তর্ভুক্ত হওয়াকে পজিটিভভাবে দেখছে।তাদের ভাষ্যমতে, নতুন বিভাগ হলে অনেক প্রশাসনিক অফিস তৈরি হবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, স্কুল-কলেজের মান বৃদ্ধি পাবে,জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা:রেজাউল করীমের মতে,”একটা বিভাগে মেডিকেল কলেজ,বিকেএসপি,ক্যাডেট কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, এয়ারপোর্ট,শিক্ষা বোর্ড সহ আরো অনেক সরকারি – বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকে যেটার সুফল সাধারণ জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পেয়ে থাকে।আর এটা যে জেলায় থাকে সে জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন হয়”।মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও অধিকাংশ লোক মনে করে মাদারীপুর ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত থাকুক অথবা প্রস্তাবিত জেলাগুলোর মধ্যে ভৌগোলিকভাবে যেহেতু মাদারীপুর এর অবস্থান মাঝখানে সেহেতু মাদারীপুরকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক দপ্তরগুলো তৈরি করা হোক।