
পশ্চিমে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা এবং দক্ষিনে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা বর্ডারে রঘুনাথপুর গ্রামটি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩নং পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। উপজেলা সদর থানা থেকে গ্রামটি ২০ কি.মি দুরে। একই ভাবে মির্জাগঞ্জ থানা ও বেতাগী থানা প্রায় ২০ কি.মি দুরে অবস্থিত। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীচক্র মহেষপুর, নিয়ামতি, বিবিচিনি, শ্রীনগর, আমড়াগায়ি, ছৈলাবুনিয়া, ভিকাখালী, রামপুর, কাঠালতলী, পাদ্রীশিবপুর, ভবানীপুর ও ছোট রঘুনাথপুর থেকে মটর সাইকেল, অটো গাড়ি ও সিএনজি যোগে ইয়াবা, গাজা, ঘাম, ফেন্সির মতো মরনঘাতী মাদক এনে রঘুনাথপুর গ্রামটিকে মাদকের সম্রাজ্যে পরিনত করেছে। প্রশাসনের অনুপুস্থিতে প্রায় দোকানপাট, রাস্থাঘাট, স্কুল-কলেজে এবং ব্রীজ কালভার্টে দিনে-রাতে প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের ওপেনে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। এছাড়াও রঘুনাথপুর গ্রামে রাত গভির হলে পতিত ঘর ও বিল্ডিং এ জুয়ারীদের জুয়ার আসর বসে। এলাকার সচেতন সমাজ জুয়ারী ও মাদক সেবীদের সতর্ক করতে গেলে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতি প্রদর্শন করে। অত্র গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ মোকলেসুর রহমান বলেন- এই গ্রামটি এক সময় নাম জশ খ্যাতিতে অন্যান্য গ্রামের তুলনায় অনেক উর্ধে ছিল, এখন দেখা যায় স্টান্ডার্ট ফ্যমিলির ছেলেরা মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত হচ্ছে। মাদকচক্র স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের হাতে মাদক তুলে দেয়ায় শারিরিক ও মেধাশূন্যতায় ভূগছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র গ্রামের একজন বলেন- প্রায় রাত্র বুদ্ধির হাট, গার্লস স্কুল ব্রীজের গোড়া, হুষ্টিকাটায় রাত ১টা -৩টা পর্যন্ত টিপটিপাইয়া বাতি জলে, কাছে যাওয়াতে মটরসাইকেল স্টার্ট করে অন্য দিকে চলে যায়, এরকম প্রতি রাতে দেখা যায়। অত্র গ্রামের একজন সমাজসেবীর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম- বাকেরগঞ্জ থানায় বিভিন্ন সোর্সে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের তথ্য দিলে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি। এ বিষয় বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ এর সাথে কথা বললে, তিনি জানান- মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের বিষয় তথ্য পাওয়া মাত্র বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করছে।