
শনিবার সকাল ১১ টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১১ নং পদ্মাকর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া বাজার এলাকার হলি-কেয়ার নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হলো প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেনী পড়ুয়া ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট এবং কোরআন শরিফ প্রদান অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উৎপল সরকার
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসোসিয়েশন অফ কিন্ডারগার্টেন বাংলাদেশ, বিথি আক্তার সাধারণ সম্পাদক অ্যাসোসিয়েশন অফ কিন্ডারগার্টেন বাংলাদেশ, মোহাম্মদ আমানত হোসেন প্রধান শিক্ষক মাওলানা বাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ সহকারী শিক্ষক মাওলানা বাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোঃ রেজাউল হক প্রধান শিক্ষক পিড়াগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ মনোয়ার হোসেন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক হলি-কেয়ার স্কুল সহ অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
সেসময় অতিথিরা বলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভেতরে এই প্রথম এমন ব্যাতিক্রমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেখলাম তা-ও আবার গ্রাম অঞ্চলে। আমরা অনেকেই দেখেছি কোরআন তেলাওয়াত করে বাংলায় তর্জমা করতে, কিন্তু এখানে ছোট্ট ছোট্ট শিক্ষার্থীরা বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে তর্জমা কোরে সবাইকে শোনালো। আমরা আজকের এই আয়োজনে না আসলে বুজতে পারতাম না যে হলি-কেয়ারের যিনি প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তার অনেক চিন্তা রয়েছে যার ফলেই শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট উপহার দিচ্ছে। আমরা আশাবাদী আগামী দিনগুলোতে হলিকেয়ার আরো সুনাম অর্জন করবে তাদের এই শিক্ষা প্রদানের মধ্যে দিয়ে।
হলি-কেয়ার স্কুলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এনে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ দান করানো হয় এবং কোরআন শিক্ষার জন্য আলাদা ব্যাবস্থাও রাখা আছে যা কিনা শিক্ষার মান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
অভিভাবক নাসিবুর রহমান বলেন, কোনো অভিভাবক চাই না তার সন্তানের শিক্ষা বিফলে যাক। আমি আমার সন্তানকে সু-শিক্ষা দানের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম হলি-কেয়ার স্কুলে ভর্তি করে, কারণ এখানে আমার সন্তান স্কুল নয় বরং আলাদা একটি পরিবার পেয়েছে যেখানে পরিবারের মত করেই ভালোবাসা দিয়ে শিক্ষা প্রদান করে। বাংলা ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি কুরআন শিক্ষাও এখান থেকেই পেয়ে যাচ্ছে।
অভিভাবক এস আর সুমন বলেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান একই রকম আর হলি-কেয়ারে সম্পুর্ন ব্যাতিক্রম। গ্রামঅঞ্চল হিসাবে সন্তানকে ব্যাতিক্রমি ট্যালেন্ট হিসাবে দেখাবো ভাবতে পারিনি।
মনোয়ার হোসেন হলি-কেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা মানেই বর্তমানে সেটা হয়ে ওঠে একটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, আমি এ ধরনের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আমার স্কুলকে দেখতে চাই না, তাই হলি-কেয়াকে আমি একটা আধুনিক মানের শিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে গড়তে চাই। এখোনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে একজন অভিভাবক তার সন্তানকে হলি-কেয়ারের শিক্ষা নিতে এখানে পাঠাতে যেন দুইবার না ভাবতে হয়, একজন প্রধান শিক্ষক হিসাবে সেরকম কিছু করতে চাই। আমিও আশাবাদী সকলের ভালোবাসায় হলি-কেয়ার একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবে।