১১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩০ বছর বয়সেও সচল ফুল কুমারীর চরভদ্রাসনে

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলার খালাসি ডাঙ্গী গ্রামে ১৩০ বছর বয়স নিয়ে আজও সচল ফুল কুমারী । মুখে আছে দাঁত , মাথার চুল আধ পাকা , হাঁটতে পারেন নিজ হাতে , খেতে পারেন ভাত ।
বর্তমান সময়ে এত বয়সী মানুষ সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না দু একজন থাকলেও তারা থাকেন অচল ।পক্ষান্তরে ফুলকুমারী ২৫ বছর আগে হারিয়েছেন তার স্বামী কুটিশ্বর মন্ডলকে দুই ছেলে আর ৪ মেয়ে নিয়ে ছিল তাদের সংসার । দিন গরাতে আজ তার ছেলেমেয়েদের ছেলে-মেয়ে নাতি পুতি ধুতি নিয়ে প্রায় ৫২ জন বংশধর রয়েছে।
 তিনি ভাগ্যবতী যে কিনা তার নাতিপুতির ছেলে সন্তান দেখতেছেন এবং তাদের সাথে খেলা করতেছেন অবাক করার বিষয় বর্তমান সময়ে মা-বাবার যত্ন অনেক কম পুত্রবধ ও ছেলে-মেয়ে রা করে থাকেন । সে ক্ষেত্রে ফুল কুমারীর ছোট ছেলে মন্টু মন্ডল এখনো তার মায়ের সাথে একি ঘরে রাত্রি যাপন করেন বউ ছেলেমেয়ে সন্তানদের রেখে শুধু মায়ের খোঁজ খবর রাখার জন্য।
 এ পরিবারটা একটি ব্যতিক্তর্মী পরিবার পরিবারের সকলেই খুব হাসিখুশি এবং আন্তরিক । ফুলকুমারীর দুই পুত্রবধূ আর ফুলকুমারী সকলেই এখন দেখতে পাই একই ধরনের তবে তারা তার শাশুড়িকে এখনো অনেক আদর যত্ন করেন আসলে সকলের ভালোবাসায় ফুল কুমারী খুব হাসিখুশি এবং সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতেছেন গ্রাম্য পরিবেশে । তবে সংসারে তেমন স্বচ্ছলতা নেই ফুলকুমারী স্বামী মাটির হাড়ি পাতিল বিক্রি করতেন তার ছেলে নাতি পুতিরা কাঠমিস্ত্রি সহ বিভিন্ন কাজ করে থাকেন ।
 বর্তমান সময়ে এই শীতে এমন বয়স্ক বিধবা ফুলকুমারীর জন্য প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন ফুল কুমারীর পরিবার।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বরগুনার তালতলীতে শুভসন্ধ্যা ও নিদ্রা সমুদ্রসৈকত থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি

১৩০ বছর বয়সেও সচল ফুল কুমারীর চরভদ্রাসনে

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলার খালাসি ডাঙ্গী গ্রামে ১৩০ বছর বয়স নিয়ে আজও সচল ফুল কুমারী । মুখে আছে দাঁত , মাথার চুল আধ পাকা , হাঁটতে পারেন নিজ হাতে , খেতে পারেন ভাত ।
বর্তমান সময়ে এত বয়সী মানুষ সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না দু একজন থাকলেও তারা থাকেন অচল ।পক্ষান্তরে ফুলকুমারী ২৫ বছর আগে হারিয়েছেন তার স্বামী কুটিশ্বর মন্ডলকে দুই ছেলে আর ৪ মেয়ে নিয়ে ছিল তাদের সংসার । দিন গরাতে আজ তার ছেলেমেয়েদের ছেলে-মেয়ে নাতি পুতি ধুতি নিয়ে প্রায় ৫২ জন বংশধর রয়েছে।
 তিনি ভাগ্যবতী যে কিনা তার নাতিপুতির ছেলে সন্তান দেখতেছেন এবং তাদের সাথে খেলা করতেছেন অবাক করার বিষয় বর্তমান সময়ে মা-বাবার যত্ন অনেক কম পুত্রবধ ও ছেলে-মেয়ে রা করে থাকেন । সে ক্ষেত্রে ফুল কুমারীর ছোট ছেলে মন্টু মন্ডল এখনো তার মায়ের সাথে একি ঘরে রাত্রি যাপন করেন বউ ছেলেমেয়ে সন্তানদের রেখে শুধু মায়ের খোঁজ খবর রাখার জন্য।
 এ পরিবারটা একটি ব্যতিক্তর্মী পরিবার পরিবারের সকলেই খুব হাসিখুশি এবং আন্তরিক । ফুলকুমারীর দুই পুত্রবধূ আর ফুলকুমারী সকলেই এখন দেখতে পাই একই ধরনের তবে তারা তার শাশুড়িকে এখনো অনেক আদর যত্ন করেন আসলে সকলের ভালোবাসায় ফুল কুমারী খুব হাসিখুশি এবং সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতেছেন গ্রাম্য পরিবেশে । তবে সংসারে তেমন স্বচ্ছলতা নেই ফুলকুমারী স্বামী মাটির হাড়ি পাতিল বিক্রি করতেন তার ছেলে নাতি পুতিরা কাঠমিস্ত্রি সহ বিভিন্ন কাজ করে থাকেন ।
 বর্তমান সময়ে এই শীতে এমন বয়স্ক বিধবা ফুলকুমারীর জন্য প্রশাসন সহ বিভিন্ন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন ফুল কুমারীর পরিবার।