
সীতাকুন্ডে জলাবদ্ধতা নিরসনে মুরাদপুর ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যভাগে অবস্থিত ছোট কুমিরা খালের খনন কাজ চলছে। গুরুত্বপূর্ন খালের খনন কাজ হওয়ায় জনমনে স্বস্থি ফিরেছে। বিএডিসি’র তত্ত্বাবধানে খাল খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু খাল খনন পূর্বে জরিপ না হওয়ায় নকশা পরিবর্তনে কবলাভুক্ত সম্পত্তি হারিয়েছে বহু পরিবার। ভিটামাটি বিলিন হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে গরীব অসহায় অর্ধশত পরিবার। জনগুরুত্ব বিবেচনায় ছোট কুমিরা খাল খনন করছে বিএডিসি দপ্তর। বহুবছর পর খাল খনন হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের পানি নিস্কাশনের পথ সুগম হয়েছে। এ অবস্থায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাওয়ায় সারা বছর চাষাবাদ করতে পারবে চাষীরা। তবে খাল খননে কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হলেও চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে কয়েক’শ পরিবার। খাল খননের সময় নকশা অনুসরন না হওয়ায় অনেক পরিবার লাখ লাখ টাকার পৈত্রিক সম্পত্তি হারিয়েছেন বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। তারা বলেন,‘ খাল খনন করার সময় নকশা অনুসরন করেনি। স্কে-বেটর দিয়ে জোরপূর্বক ঘর-বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। বাঁধা দেয়া হলে ক্ষতিপূরনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখানো পর্যন্ত কোনো প্রকার ক্ষতিপূরন দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় ভিটে মাটি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অবগত না করে উচ্ছেদ করায় সহায় সম্ভল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন যাপন করছি। যুগ যুগ ধরে পৈত্রিক ভিটার উপর বসবাস করছি। যাঁচাই-বাঁছায় ছাড়া অপরিকল্পিত ভাবে খাল খনন করতে গিয়ে ঘর-বাড়ী ভেঙে দিয়েছে। নতুন করে ঘর বাঁধার মতো অবস্থা নেই বলে জানান অর্ধশত জেলে। এদিকে,‘ ৫০ ফুট প্রস্ত ও ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খালের খনন কাজে নকশা অনুসর না হওয়ায় কবলাভুক্ত জায়গা কেটে ফেলা হয়। এতে খালের পাড়ের জায়গা-জমির মালিকরা ক্ষতিতে পড়েছে। নমুনা নির্ভর খাল খনন করায় ক্ষতিপূরন প্রদান থেকে বিরত থাকছে সংশ্লিষ্টরা। সমস্যা সমাধানের আশায় উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এ বিষয়ে বিএডিসি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন, সকল নিয়ম মেনে খালের খনন কাজ চলছে। খালের পরিমান একেক স্থানে একেক রকম হওয়ায় গড়ে ৫০ ফিট প্রস্থ্যে খাল খনন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সাহায্য করবে বলেও জানান তিনি।