
ঢাকায় গার্মেন্টস এর চাকরি ছেড়ে বাড়ি এসে পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মোঃ আলী মৃধার ছেলে মোঃ রিয়াদুল ইসলাম মৃধা (৩৬)।
২০১৯ সালে করোনাকালীন সময়ে চাকরি ছেড়ে বাড়ি আসেন রিয়াদুল। এরপর নিজ উদ্যোগে বাড়ির পাশেই ৫কাঠা জমি নিয়ে একটি ক্ষেত তৈরি করেন। তার সেই ক্ষেতে তিনি দুই হাজার টাকা খরচ করে তাইওয়ানের রেড লেডি জাতের হাইব্রিড কিছু পেঁপের বীজ বপন করেন। সেই বীজ থেকে তখন ১৬০টি পেঁপে চারা হয় এবং সাড়ে চার মসের মাথায় প্রত্যেকটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। বছর ঘুরতেই সেই পেঁপে গাছ থেকে লাখ টাকা আয় করে ফেলেন তরুণ উদ্যোক্তা রিয়াদুল ইসলাম। শুরুতে সব মিলিয়ে তিনি তার ক্ষেতের পেছনে ব্যয় করেছিলেন মাত্র ৬ হাজার টাকা। বর্তমানে তার সেই ক্ষেত থেকে প্রতি সপ্তাহে পেঁপে বিক্রি করছেন ১২ হাজার টাকার। রিয়দুল ইসলাম বলেন,মাত্র ৬ হাজার টাকা নিয়ে তিনি পেঁপে চাষ শুরু করেছিলেন। তাইওয়ানের রেড লেডি জাতের হাইব্রিড পেঁপের চাষ করে তিনি সফল। এই জাতের পেঁপে খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। তাই বাজারে এর দামও বেশি। প্রতি কেজি পাঁকা পেঁপে বিক্রি করেন এক’শ টাকায়। তার ক্ষেত থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সাড়ে তিন লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে প্রত্যেকটি গাছে পর্যাপ্ত পেঁপে রয়েছে।
রিয়াদুলের স্বল্প পুঁজির পেঁপে ক্ষেতে অধিক লাভ দেখে আশপাশের অনেকেরই আগ্রহ বাড়ছে একই জাতের পেঁপে চাষ করতে। একই ইউনিয়নের মোঃ নুরে আলম বলেন,রিয়াদুলের ছোটো ছোটো গাছে এতো বড়বড় পেঁপে হয়েছে যা দেখে খুবই ভাল লাগছে। তার মতো করে পেঁপের চাষ করতে চান বলেও জানান এই নতুন উদ্যোক্তা।
শরণখোলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ মোস্তফা মশিউল আলম বলেন, রিয়াদুল ইসলামের পেঁপে ক্ষেত স্থানীয় যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রেরণা যোগাবে। তার মতো এমনভাবে পেঁপে চাষ করলে অবশ্যই সবাই লাভবান হবে।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ ও রিয়াদুল ইসলামের সঠিক শ্রমে আজ তার সফলতা এসেছে। তার ক্ষেতে রেড লেডি জাতের হাইব্রিড পেঁপের ফলন খুবই ভাল এবং লাভজনক হয়েছে। তাই স্থানীয় যুবকদের রিয়াদুলের মতো পেঁপে চাষে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।