০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মা দিবস: নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক অনন্য উৎসব

প্রতিটি শিশুর প্রথম আশ্রয়স্থল, প্রথম শিক্ষক, প্রথম বন্ধু হলেন মা। মায়ের কোলে জগতের প্রথম পরিচয় ঘটে, তাঁর হাসিতে খুঁজে পাই জীবনের আনন্দ। সেই অসীম মমতাময়ী, ত্যাগী মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতেই প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালিত হয় ‘মা দিবস’। এই দিনটি শুধু একটি উৎসব নয়—এটি মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক আন্তরিক মুহূর্ত। যদিও মায়ের জন্য ভালোবাসা কোনো বিশেষ দিনের অপেক্ষা করে না, মা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় তাঁর নিঃস্বার্থ ত্যাগ, অবিরাম শ্রম আর সীমাহীন মমতার কথা বিশ্বব্যাপী মা দিবস পালিত হলেও এর শিকড় ছড়িয়ে আছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতেও। প্রাচীন কাল থেকেই ‘মা’ ছিল পূজার আসনে। আধুনিক সমাজে এই দিনটি সন্তান ও মায়ের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে।
এই বিশেষ দিনে অনেকেই মায়ের জন্য উপহার নিয়ে আসে, কেউ রান্না করে তাঁর প্রিয় খাবার, কেউ আবার মায়ের সঙ্গে কাটায় সময়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যেখানে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ পায় কবিতা, গান, বক্তৃতা ও নাটকে। মা দিবস কেবল একদিনের অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি চেতনা—মাকে ভালোবাসার, তাঁর প্রতি যত্নবান হওয়ার, আর তাঁকে জানার গভীর উপলব্ধির একটি রূপ। আজ মা দিবসে আমাদের শপথ হোক—মায়ের প্রতি ভালোবাসা, সম্মান ও দায়িত্ব শুধু একটি দিনে নয়, প্রতিটি দিনেই পালন করব। কারণ, মা একদিনের নয়—তিনি আমাদের সারাজীবনের আশীর্বাদ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

আ.লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস

মা দিবস: নিঃস্বার্থ ভালোবাসার এক অনন্য উৎসব

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
প্রতিটি শিশুর প্রথম আশ্রয়স্থল, প্রথম শিক্ষক, প্রথম বন্ধু হলেন মা। মায়ের কোলে জগতের প্রথম পরিচয় ঘটে, তাঁর হাসিতে খুঁজে পাই জীবনের আনন্দ। সেই অসীম মমতাময়ী, ত্যাগী মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতেই প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার পালিত হয় ‘মা দিবস’। এই দিনটি শুধু একটি উৎসব নয়—এটি মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক আন্তরিক মুহূর্ত। যদিও মায়ের জন্য ভালোবাসা কোনো বিশেষ দিনের অপেক্ষা করে না, মা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় তাঁর নিঃস্বার্থ ত্যাগ, অবিরাম শ্রম আর সীমাহীন মমতার কথা বিশ্বব্যাপী মা দিবস পালিত হলেও এর শিকড় ছড়িয়ে আছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতেও। প্রাচীন কাল থেকেই ‘মা’ ছিল পূজার আসনে। আধুনিক সমাজে এই দিনটি সন্তান ও মায়ের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে।
এই বিশেষ দিনে অনেকেই মায়ের জন্য উপহার নিয়ে আসে, কেউ রান্না করে তাঁর প্রিয় খাবার, কেউ আবার মায়ের সঙ্গে কাটায় সময়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যেখানে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ পায় কবিতা, গান, বক্তৃতা ও নাটকে। মা দিবস কেবল একদিনের অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি চেতনা—মাকে ভালোবাসার, তাঁর প্রতি যত্নবান হওয়ার, আর তাঁকে জানার গভীর উপলব্ধির একটি রূপ। আজ মা দিবসে আমাদের শপথ হোক—মায়ের প্রতি ভালোবাসা, সম্মান ও দায়িত্ব শুধু একটি দিনে নয়, প্রতিটি দিনেই পালন করব। কারণ, মা একদিনের নয়—তিনি আমাদের সারাজীবনের আশীর্বাদ।