
ফোনে যতই এলার্ম সেট করি না কেন, আমাদের ঘুম যে ভাঙে একমাত্র মায়ের ডাকে।
চাওয়ার মতো মানুষ অনেক থাকলেও, সব আবদার গিয়ে ঠেকে মায়ের কাছেই।
জীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্তে, যখন পাশে কেউ থাকে না, তখন মনের অজান্তেই আমরা বলি—আমার একটা মা আছে।
এক অক্ষরের একটি শব্দ—‘মা’।
তবুও এর গভীরতা এতটাই বিস্তৃত, যে পৃথিবীর সব ভাষা, শব্দ আর অভিব্যক্তি মিলেও ‘মা’ শব্দটিকে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব।
‘মা’ মানেই নিরাপত্তা, নির্ভরতা, নিঃশর্ত ভালোবাসা।
মা মানেই আশ্রয়, প্রশান্তি, আর হৃদয়ের সবটুকু জুড়ে থাকা এক আলোকবর্তিকা।
মা ও সন্তান—দুটি আলাদা শরীর হলেও, আত্মা যেন একটাই।
কারণ মায়ের চোখে ভেসে থাকি আমরা,
মায়ের আঁচলে যেন চাবি ছাড়া লুকানো আমাদের অস্তিত্ব।
আমাদের জন্য তাঁর প্রতিনিয়ত কষ্ট, দুশ্চিন্তা, আত্মত্যাগ—
তবুও মায়ের হৃদয়ে সবসময় আমরা।
জ্বরের ঘোরে ওষুধের আগেও দরকার হয় মায়ের ছোঁয়া,
বছরের ব্যস্ততম দিনেও যদি কেউ আপনাকে ফোন করেন—
তিনি হয়তো আপনার মা।
আপনার চিন্তায় যদি কোনো নারীর মন খারাপ হয়ে যায়—
তিনি নিঃসন্দেহে আপনার মা।
স্বার্থের সব হিসাব শেষেও যদি কোনো দোয়ায় আপনার নাম থাকে—
তাও নিশ্চয়ই মায়ের মুখ থেকে।
আজ ১১ মে, বিশ্ব মা দিবস।
তবে মায়ের ভালোবাসা কোনো নির্দিষ্ট দিনের মাঝে সীমাবদ্ধ নয়—
কারণ প্রতিটি দিনই মায়ের জন্য হওয়া উচিত।
তবুও ব্যস্ত এই জীবনে অন্তত আজকের দিনটি হোক শুধুই মায়ের জন্য।
আজকের দিনটা কাটুক শুধুই তাঁর সাথে—
হোক তা সামনাসামনি কিংবা ভিডিও কলে,
বলুন—“মা, তুমি কেমন আছো?”
এই একটি প্রশ্নেই হয়তো পূর্ণ হবে তাঁর পৃথিবী।
মায়ের আঁচলে বাঁধা সেই ছোটবেলার সঞ্চয়ই আজ আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভরসা।
ছোট্ট এক টুকরো খুশি থেকে বিশাল সব স্বপ্ন—
সবকিছুর পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন মা।
আজ মা দিবসে, পৃথিবীর সব মায়ের প্রতি রইল আমাদের অশেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
“যিনি আমাকে তৈরি করেছেন আজকের আমি—তিনি আমার মা।
আর প্রতিটি মা, যাঁরা নিঃসীম ভালোবাসায় সন্তানকে আগলে রাখেন—
তাঁদের প্রতি রইল হৃদয়ের গভীরতম শ্রদ্ধা।
শুভ মা দিবস।”