
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় তৎপরতা বাড়িয়েছে চোরাকারবারি ও দালালচক্র। এসব অপতৎপরতা রুখতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং সাধারণ জনগণের সহায়তায় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জানিয়েছে, সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অবস্থানরত কিছু মিয়ানমার নাগরিক (রোহিঙ্গা) ও বাংলা ভাষাভাষী ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সীমান্তের ওপারে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা দেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তে বিজিবির টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে।
বিজিবির জামালপুর ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শামসুল হক শনিবার (১০ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ ও অপরাধ প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদকর্মীরা গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে বিজিবিকে সহায়তা করছে। এছাড়াও স্থানীয় দেশপ্রেমিক জনগণ বিজিবির সঙ্গে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত ৭ ও ৮ মে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টার সময় ৩২ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্মিলিত সহযোগিতায় কাজ করছে বিজিবি।