০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন, আহত চারজন

গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারি ঘটনায় হযরত আলী নামে এক বৃদ্ধের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় দুই পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৩ মে উপজেলা বরমী ইউনিয়নের তাঁতীসূতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের শেখ বাড়ির সংলগ্ন মারামারির ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো তাঁতীসূতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন এর ছেলে হযরত আলী (৬৫)। এ ঘটনায় তার বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অন্যপক্ষের আহতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত রাম দুলাল বিশ্বাসের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস (৫২)। তার বড় ভাই অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস (৬২) এবং তার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী সঙ্গীতা বিশ্বাস (১৭)। তারা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানায় কর্মরত আছে।
আহত হযরত আলীর ভাতিজা শাকিল আহমেদ আজকের খবর পত্রিকা কে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার জেটা হযরত আলী বন বিভাগের জমি ভোগদখল করে চাষাবাদ করে খাচ্ছেন। এ নিয়ে বন বিভাগের আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু প্রতিপক্ষ অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস ওই জায়গা তাদের বলে দাবি করে। অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস এবং তার ভাই পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ শুরু করেন। এ সময় কৃষক হযরত আলী তাদেরকে বাধা দিলে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাসের হাতে থাকা দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে তার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাসের বড় ভাই প্রফুল্ল চন্দ্র বিশ্বাস আমাদের জানান, আমার ছোট ভাই ঐ জমিতে চাষ করতে গেলে হযরত আলী ও তার স্বজনরা তাকে মারধোর শুরু করে। তার চিৎকার শুনে ছোট ভাই পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাসের ভাতিজি সংগীতা বিশ্বাস ঘটনাস্থলে যায়। এক পর্যায়ে কৃষক হযরত আলী সাথে মারামারি বাধে। এ সময় আমাদের তিনজন আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর রেঞ্জের সদর বিট কর্মকর্তা আলাল উদ্দিন জানান, বরমী ইউনিয়নের তাঁতিসূতার ওই জায়গা বন বিভাগের হওয়ায় আগে আদালতে মামলা হয়েছে। গত বছর ওই জায়গায় কিছু আকাশি গাছের চারা রোপন করা হয়েছিল। এই বছরও আমরা কিছু আকাশি গাছের চারা রোপন করবো।
এই ঘটনায় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, আমি সাক্ষীর কাজে ঢাকা আছি, মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠায়। সার্কেল এএসপিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষেই থানায় অভিযোগ দেয়নি, ভুক্তভোগী পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

শ্রীনগরে জোর পূর্বক অন্যের জমির ধান কেটে নিলেন এক প্রভাবশালী বি এন পি নেতা

শ্রীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে কৃষকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন, আহত চারজন

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারি ঘটনায় হযরত আলী নামে এক বৃদ্ধের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় দুই পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৩ মে উপজেলা বরমী ইউনিয়নের তাঁতীসূতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের শেখ বাড়ির সংলগ্ন মারামারির ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো তাঁতীসূতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিন এর ছেলে হযরত আলী (৬৫)। এ ঘটনায় তার বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। অন্যপক্ষের আহতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত রাম দুলাল বিশ্বাসের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস (৫২)। তার বড় ভাই অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস (৬২) এবং তার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী সঙ্গীতা বিশ্বাস (১৭)। তারা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আর পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানায় কর্মরত আছে।
আহত হযরত আলীর ভাতিজা শাকিল আহমেদ আজকের খবর পত্রিকা কে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার জেটা হযরত আলী বন বিভাগের জমি ভোগদখল করে চাষাবাদ করে খাচ্ছেন। এ নিয়ে বন বিভাগের আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু প্রতিপক্ষ অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস ওই জায়গা তাদের বলে দাবি করে। অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাস এবং তার ভাই পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাস বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ শুরু করেন। এ সময় কৃষক হযরত আলী তাদেরকে বাধা দিলে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাসের হাতে থাকা দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে তার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। অমূল্য চন্দ্র বিশ্বাসের বড় ভাই প্রফুল্ল চন্দ্র বিশ্বাস আমাদের জানান, আমার ছোট ভাই ঐ জমিতে চাষ করতে গেলে হযরত আলী ও তার স্বজনরা তাকে মারধোর শুরু করে। তার চিৎকার শুনে ছোট ভাই পুলিশ কনস্টেবল অমৃত চন্দ্র বিশ্বাসের ভাতিজি সংগীতা বিশ্বাস ঘটনাস্থলে যায়। এক পর্যায়ে কৃষক হযরত আলী সাথে মারামারি বাধে। এ সময় আমাদের তিনজন আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর রেঞ্জের সদর বিট কর্মকর্তা আলাল উদ্দিন জানান, বরমী ইউনিয়নের তাঁতিসূতার ওই জায়গা বন বিভাগের হওয়ায় আগে আদালতে মামলা হয়েছে। গত বছর ওই জায়গায় কিছু আকাশি গাছের চারা রোপন করা হয়েছিল। এই বছরও আমরা কিছু আকাশি গাছের চারা রোপন করবো।
এই ঘটনায় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, আমি সাক্ষীর কাজে ঢাকা আছি, মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠায়। সার্কেল এএসপিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষেই থানায় অভিযোগ দেয়নি, ভুক্তভোগী পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।