
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান থাকার পরেও এক প্রভাবশালী বি এন পি নেতার হুকুমে ইসমাইল মৃধা গংদের ফসলি জমির ধান কেটে নিলেন মো: মহিউদ্দিন খান গং।
মহিউদ্দিন পাটাভোগ গ্রামের মৃত হাজী মোতাহার হোসেনের ছেলে এবং পাটাভোগ ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানাজায়।
১৪ মে বুধবার সকাল ৯ টার সময় পাটাভোগ দক্ষিণ চকে জোরপূর্বক এ ধান কাটার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন বলেন পাটাভোগ মৌজার সি এস ৭৩৩ নং খতিয়ানের ৬৪৮ নং দাগে ৮৭ শতাংশ জমির মালিক আমার নানা আফিজ উদ্দিন মৃধা গং। ফলে আমরা ওয়ারিশ সুত্রে মালিক থাকিয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ ভোগদখলে বিদ্যমান থাকিয়া প্রতি বছর মৌসুমি ফসল রোপন করে আসছি। এতে কোনদিন কেউ আমাদেরকে বাঁধা প্রদান করেনি। এদিকে এস এ আর এস রেকর্ড জরিপ হইলে আমরা এলাকায় না থাকার ফলে ভুল বসত আরেক জনের নাম রেকর্ডভুক্ত হয়। ফলে আমরা এস এ আর এস রেকর্ডের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত, মুন্সিগঞ্জে দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১১৬/২০২৫ দায়ের করি, মামলাটি এখনো আদালতে চলমান রয়েছে। বরাবরের মতো এবারও আমরা আমাদের মালিকানা ৮৭ শতাংশ জমিতে ধান বুনি,কিন্তু পাটাভোগ গ্রামের মৃত মোকাজ্জল হোসেন খানের পুত্র ভূমিদস্যু মো: বাচ্চু খান, মো: মোশাররফ হোসেন খান, মো: সিরাজ খান, মো: হারুন খান এবং একই গ্রামের মৃত হাজী মোতাহার হোসেন খানের পুত্র মো:মহি উদ্দিন খান, মৃত মো: খলিল খানের পুত্র মো: রুহুল খান। মোহাম্মাদ আলীর পুত্র নাঈমসহ পাটাভোগ গ্রামের তাসর সরদার, মজিবুর মোল্লা একটি সন্দেহ জনক দলিল তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জোর পূর্বক আমাদের ক্ষেতের পাঁকা ধান কেটে নিয়ে যায়। আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদেরকে মহি উদ্দিন গং ধান ক্ষেতের নিকট আসলে প্রাণে মেরে ফেলবো বলে হুমকি প্রদান করে।
বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তির মাধ্যমে শালিস মীমাংসার চেষ্টা করলেও মহি উদ্দিন গং মালিকানা দাবির পক্ষে কোন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।