০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গাবালীতে টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত, চাষাবাদে ব‍্যহত আমন ধান

  • আ: রহিম গাজী
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০১:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
  • 215
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বর্ষণে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট জলমগ্ন, কৃষিজমিতে পানি জমে রয়েছে, ঘরবন্দি মানুষ – সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে স্থানীয়রা।
টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। আমন চাষের মৌসুম হলেও মাঠে পানি জমে থাকায় তারা সময়মতো বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষাবাদ। তলিয়ে গেছে বীজতলা। কোথাও কোথাও বীজ তলার  চেষ্টা করলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বীজ। পাশাপাশি, হিমসিম খাচ্ছে গবাদিপশুর  গৃহস্থ ও খামারিরাও। অতি বৃষ্টির কারনে গবাদিপশুর দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রোগ। এতে আতঙ্কে আছে গৃহস্থ ও খামারি।  পুরো আষাঢ় মাস জুড়েই চলেছে বৃষ্টিপাত। সাথে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় নদীপথে যোগাযোগও ব্যাহত।
স্হানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আগের মতো আর গরু-মহিষ দিয়ে জমি চাষ করেন না তারা। বর্তমানে চাষাবাদের জন্য ট্রাক্টরের ওপর নির্ভরশীলতা বেশি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ট্রাক্টর চালানোও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আষাঢ় মাসে জমি প্রস্তুত করা ও হালচাষে চরম বিঘ্ন ঘটছে।
এছাড়া চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই সাগরে ঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় অনেকে এখনো বীজতলা তৈরিই করতে পারেননি। যারা বীজতলা তৈরি করেছেন, তাদের  বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষক চিন্তিত। অন্যদিকে, বৃষ্টির কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
স্হানীয়দের প্রত‍্যাশা, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে কৃষকরা চাষাবাদে মনোযোগ দিতে পারবেন এবং ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।
তবে এ বিষয় রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বলেন, যারা বীজতলা তৈরি করেছেন তাদের পানি নিস্কাসনের ব‍্যাবস্হা করে রাখতে হবে। এবং যারা এখন ও বীজতলা তৈরি করেননি তারা আবহাওয়া ভাল হলে বীজতলা তৈরি  করবেন,  বীজতলা  একটু  উচু যায়গায় করতে হবে।যেন একটু বৃষ্টি হলে বীজতলা তলিয়ে না যায়। আর সমস্ত স্লূইস গেট খোলা রাখতে হবে।যাহাতে বৃষ্টির পানি নামতে কোন সমস্যা না হয়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবীতে নলছিটিতে সংবাদ সম্মেলন

রাঙ্গাবালীতে টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত, চাষাবাদে ব‍্যহত আমন ধান

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বর্ষণে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট জলমগ্ন, কৃষিজমিতে পানি জমে রয়েছে, ঘরবন্দি মানুষ – সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে স্থানীয়রা।
টানা বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। আমন চাষের মৌসুম হলেও মাঠে পানি জমে থাকায় তারা সময়মতো বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাষাবাদ। তলিয়ে গেছে বীজতলা। কোথাও কোথাও বীজ তলার  চেষ্টা করলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বীজ। পাশাপাশি, হিমসিম খাচ্ছে গবাদিপশুর  গৃহস্থ ও খামারিরাও। অতি বৃষ্টির কারনে গবাদিপশুর দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রোগ। এতে আতঙ্কে আছে গৃহস্থ ও খামারি।  পুরো আষাঢ় মাস জুড়েই চলেছে বৃষ্টিপাত। সাথে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় নদীপথে যোগাযোগও ব্যাহত।
স্হানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, আগের মতো আর গরু-মহিষ দিয়ে জমি চাষ করেন না তারা। বর্তমানে চাষাবাদের জন্য ট্রাক্টরের ওপর নির্ভরশীলতা বেশি। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ট্রাক্টর চালানোও সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আষাঢ় মাসে জমি প্রস্তুত করা ও হালচাষে চরম বিঘ্ন ঘটছে।
এছাড়া চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই সাগরে ঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় অনেকে এখনো বীজতলা তৈরিই করতে পারেননি। যারা বীজতলা তৈরি করেছেন, তাদের  বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষক চিন্তিত। অন্যদিকে, বৃষ্টির কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
স্হানীয়দের প্রত‍্যাশা, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে কৃষকরা চাষাবাদে মনোযোগ দিতে পারবেন এবং ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।
তবে এ বিষয় রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বলেন, যারা বীজতলা তৈরি করেছেন তাদের পানি নিস্কাসনের ব‍্যাবস্হা করে রাখতে হবে। এবং যারা এখন ও বীজতলা তৈরি করেননি তারা আবহাওয়া ভাল হলে বীজতলা তৈরি  করবেন,  বীজতলা  একটু  উচু যায়গায় করতে হবে।যেন একটু বৃষ্টি হলে বীজতলা তলিয়ে না যায়। আর সমস্ত স্লূইস গেট খোলা রাখতে হবে।যাহাতে বৃষ্টির পানি নামতে কোন সমস্যা না হয়।