
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ হওয়া মির্জা আব্দুল আহাদের (৪৫) মরদেহ দুই দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় কুশিয়ারা নদীর একটি অংশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত সোমবার (৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মুসলিমাবাদ গ্রামের পূর্ব পাশে নদীতে তিনি নিখোঁজ হন। ধারণা করা হচ্ছিল, নদীর অপর পাড়ে তার বোনের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতার কাটতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
মির্জা আহাদ পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের মুসলিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। পিতার নাম মির্জা ধন মিয়া। তিনি একজন কৃষক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনসহ স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে বালাগঞ্জে প্রশিক্ষিত ডুবুরি না থাকায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি। পরে সিলেট থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরি এনে নদীতে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কুশিয়ারা নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে অভিযান ব্যাহত হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, নিখোঁজের পর সাধারণত ২৪ ঘণ্টা পর মরদেহ ভেসে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
পরিবার জানায়, উদ্ধার অভিযান চালানোর দুই দিন পর বুধবার সন্ধ্যায় কুশিয়ারা নদীর একটি অংশে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে উদ্ধার হওয়া মরদেহের অবস্থা ছিল অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। নদীতে দুই দিন নিখোঁজ থাকার ফলে মরদেহের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের অনুমতি প্রদান করে। এই ঘটনায় স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।