০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাত ছাড়াই টাকা আদায় করেন প্রধান শিক্ষক মোতাহার

রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীদের কাছ সেশন ফি কোন খাতে কত টাকা নেয়া হচ্ছে তা উল্লেখ না করেই অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একটি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই বিদ্যালয়টি হচ্ছে পাংশা পৌরসভার এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ।জানা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারি নীতিমালা অনুসরণপূর্বক খাতওয়ারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি আদায় করার বিধান রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কোন নীতিমালা বা রেজুলেশন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করেছেন এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন।বিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত রশিদ দেখে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। রশিদটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তারিখ ব্যতীত পরীক্ষার ফি বাবদ ৪৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা ও সেশন ফি বাবদ ১২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। তবে সেখানে কোন খাতে টাকা নেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত টাকা দিলেও কোন খাতে কত টাকা দিচ্ছি তা জানিনা।কয়েকজন অভিভাবক বলেন, আমরা সন্তানদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে টাকা দিই কিন্তু কখনো জানতে পারিনা এই টাকা স্কুলের কোন খাতে ব্যয় করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সরেজমিনে এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠে গেলে কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহার হোসেনের সঙ্গে। সেসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সেশন ফি আদায়ের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো নীতিমালা বা পরিপত্র অনুসরণ করা হয় কি না।প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক জানান, তারা নীতিমালা অনুসরণ করেই টাকা আদায় করে থাকেন। কিন্তু নীতিমালা দেখাতে বললে তিনি জানান, তা তিনি দেখাতে পারবেন না।এরপর জানতে চাওয়া হয়, কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হয়? জবাবে তিনি বলেন, “আমার নির্দিষ্ট করে কোনো তালিকা নেই যে কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হবে। আমরা নির্দিষ্ট করে টাকা নেই না। বিভিন্ন খাতের টাকা একসাথে করা থাকে। এক খাতের টাকা অন্য খাতেও অনেক সময় কম বেশি খরচ হয়। তাই যেই খাতে যখন যত টাকা লাগে, তখন আমরা একবারেই পুরো টাকা নিয়ে তা জেনারেল ফান্ডে জমা রাখি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করি।”এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম আবু দারদা বলেন, “উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি মিটিং করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি কোন খাতে কত টাকা নেয়া হচ্ছে তা উল্লেখপূর্বক রশিদ প্রদানের জন্য। যাতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানতে পারে তাদের কাছ থেকে কোন কোন খাতের টাকা নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন লুকোচুরি করা যাবে না।”

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পেল জুলাই আন্দোলনে নিহত বিপ্লব হাসানের পরিবার

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাত ছাড়াই টাকা আদায় করেন প্রধান শিক্ষক মোতাহার

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষার্থীদের কাছ সেশন ফি কোন খাতে কত টাকা নেয়া হচ্ছে তা উল্লেখ না করেই অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একটি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই বিদ্যালয়টি হচ্ছে পাংশা পৌরসভার এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠ।জানা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরকারি নীতিমালা অনুসরণপূর্বক খাতওয়ারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি আদায় করার বিধান রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কোন নীতিমালা বা রেজুলেশন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করেছেন এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন।বিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত রশিদ দেখে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। রশিদটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তারিখ ব্যতীত পরীক্ষার ফি বাবদ ৪৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা ও সেশন ফি বাবদ ১২০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। তবে সেখানে কোন খাতে টাকা নেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত টাকা দিলেও কোন খাতে কত টাকা দিচ্ছি তা জানিনা।কয়েকজন অভিভাবক বলেন, আমরা সন্তানদের পড়াশোনার জন্য স্কুলে টাকা দিই কিন্তু কখনো জানতে পারিনা এই টাকা স্কুলের কোন খাতে ব্যয় করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সরেজমিনে এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠে গেলে কথা হয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতাহার হোসেনের সঙ্গে। সেসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সেশন ফি আদায়ের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো নীতিমালা বা পরিপত্র অনুসরণ করা হয় কি না।প্রশ্নের উত্তরে প্রধান শিক্ষক জানান, তারা নীতিমালা অনুসরণ করেই টাকা আদায় করে থাকেন। কিন্তু নীতিমালা দেখাতে বললে তিনি জানান, তা তিনি দেখাতে পারবেন না।এরপর জানতে চাওয়া হয়, কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হয়? জবাবে তিনি বলেন, “আমার নির্দিষ্ট করে কোনো তালিকা নেই যে কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হবে। আমরা নির্দিষ্ট করে টাকা নেই না। বিভিন্ন খাতের টাকা একসাথে করা থাকে। এক খাতের টাকা অন্য খাতেও অনেক সময় কম বেশি খরচ হয়। তাই যেই খাতে যখন যত টাকা লাগে, তখন আমরা একবারেই পুরো টাকা নিয়ে তা জেনারেল ফান্ডে জমা রাখি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করি।”এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম আবু দারদা বলেন, “উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি মিটিং করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেশন ফি কোন খাতে কত টাকা নেয়া হচ্ছে তা উল্লেখপূর্বক রশিদ প্রদানের জন্য। যাতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানতে পারে তাদের কাছ থেকে কোন কোন খাতের টাকা নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন লুকোচুরি করা যাবে না।”