০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনীতিবিদরা সামনে বড় বড় কথা বলে,ভিতরে অনেক কিছু করেন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে সারজিস আলম

  • Md Naim Islam
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • 21

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, রাজনীতিবিদরা বা সরকারের সংশ্লিষ্ট যারা আছে তারা যেটা দেখিয়েছে সেটা পুরোটা সত্য নয়। সেটাই দেখিয়েছে যেটা তারা দেখিয়েছে। কিন্তু একচুয়ালি যেটা ঘটেছে সেটা তারা দেখায় নি। আমরা দেখেছি রাজনীতিবিদরা সামনে এসে বড় বড় কথা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাদের ইন্টারনাল বোঝাপড়া চলছে। রাজনীতিবিদদের বাইরে এসে একে অপরের বিরুদ্ধে অনেক বড় কথা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে একসাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালায়। বুধবার (৯ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় নাগরিক পার্টির বিচার,সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে এনসিপির পদযাত্রা ও পদসভায় এসব কথা বলেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।সারজিস আলম বলেন, সরকারের পক্ষে একটা পুরাতন স্টাবলিশমেন্ট এটাকে পরিবর্তন করার ছোট্ট একটা অংশ। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা কে সেভ দিয়ে এটাকে কমপ্লিট করা। পুরাতন যারা ছিল স্টাবলিশমেন্ট তারা একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে ভাগ বাটোয়ারা পার্সেন্টেজটা শুধু চেঞ্জ করে। আগে ছিল ৩০-৭০ এখন হয়েছে ৭০-৩০। কিন্তু আগের মতো সব কিছু চলে, চাঁদাবাজি চলে, লুটপাট চলে, দখলদারিত্ব চলে, মাদকের ব্যবসা চলে, কালো টাকার বিশাল বড় বিজনেস চলে।তিনি আরো বলেন, এইজন্য এই লড়াইটাকে রাজনৈতিক দলের মধ্য দিয়ে শুরু করতে হয়েছে, কারণ আমরা যদি বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে এটাই তিক্ত সত্য যে আপনি একটা স্বেচ্ছাসেবী হোক কিংবা একটা ভলান্টিয়ারিং কোন প্ল্যাটফর্ম দিয়ে রাজনৈতিক দলকে আগামীতে কোনো ঘটনা ঘটাতে পারবেন না। আপনাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না। আমাদের মনে হয়েছে, এই লড়াইটা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। আমার আহ্বান হচ্ছে আমরা জুলাইয়ের যে সাহস,যে পাওয়ার থেকে যাওয়ার পরে মাথা উঁচিয়ে করে দাঁড়ানো, এটা যেন ভুলে না যাই।তিনি জণগনের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি কাউকে দেখেন যে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে ভুল পথে হাঁটছে, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, বাংলাবাজি, লুটপাট, ঘুষখোরি, মাদকের বিরুদ্ধে কালো টাকা থেকে শুরু করে অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে, সেটা যে কেউই হোক না কেন, যত বড় দলী হোক কিংবা আমাদের মত কোনো যদি সহযোদ্ধা হয়, আপনারা তাদের বিপক্ষে চৌকসভাবে আপনাদেরকে দাঁড়াতে হবে। যেদিন আমরা কোন একটা দল, ব্যক্তি কিংবা বসকে আবার ভয় পাওয়া শুরু করব, প্রশ্ন করা থামিয়ে দিব, কথা বলা বন্ধ করে দিব, এই দিন থেকে আরেকজন ফ্যাসিস্ট তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। এছাড়াও ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, ইয়াসিরুল কবীর সৌরভ এবং গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৮ই জুলাই কুষ্টিয়ায় পদযাত্রা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ। পরে ৯ই জুলাই ঝিনাইদহ শহরে পদযাত্রা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ করে নেতৃবৃন্দ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা এই আয়োজন করে।উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গত ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করেছে। এক মাসে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া—বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সফর করবে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পেল জুলাই আন্দোলনে নিহত বিপ্লব হাসানের পরিবার

রাজনীতিবিদরা সামনে বড় বড় কথা বলে,ভিতরে অনেক কিছু করেন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে সারজিস আলম

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, রাজনীতিবিদরা বা সরকারের সংশ্লিষ্ট যারা আছে তারা যেটা দেখিয়েছে সেটা পুরোটা সত্য নয়। সেটাই দেখিয়েছে যেটা তারা দেখিয়েছে। কিন্তু একচুয়ালি যেটা ঘটেছে সেটা তারা দেখায় নি। আমরা দেখেছি রাজনীতিবিদরা সামনে এসে বড় বড় কথা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাদের ইন্টারনাল বোঝাপড়া চলছে। রাজনীতিবিদদের বাইরে এসে একে অপরের বিরুদ্ধে অনেক বড় কথা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে একসাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালায়। বুধবার (৯ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় নাগরিক পার্টির বিচার,সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে এনসিপির পদযাত্রা ও পদসভায় এসব কথা বলেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।সারজিস আলম বলেন, সরকারের পক্ষে একটা পুরাতন স্টাবলিশমেন্ট এটাকে পরিবর্তন করার ছোট্ট একটা অংশ। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা কে সেভ দিয়ে এটাকে কমপ্লিট করা। পুরাতন যারা ছিল স্টাবলিশমেন্ট তারা একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে ভাগ বাটোয়ারা পার্সেন্টেজটা শুধু চেঞ্জ করে। আগে ছিল ৩০-৭০ এখন হয়েছে ৭০-৩০। কিন্তু আগের মতো সব কিছু চলে, চাঁদাবাজি চলে, লুটপাট চলে, দখলদারিত্ব চলে, মাদকের ব্যবসা চলে, কালো টাকার বিশাল বড় বিজনেস চলে।তিনি আরো বলেন, এইজন্য এই লড়াইটাকে রাজনৈতিক দলের মধ্য দিয়ে শুরু করতে হয়েছে, কারণ আমরা যদি বাংলাদেশের পার্সপেক্টিভে এটাই তিক্ত সত্য যে আপনি একটা স্বেচ্ছাসেবী হোক কিংবা একটা ভলান্টিয়ারিং কোন প্ল্যাটফর্ম দিয়ে রাজনৈতিক দলকে আগামীতে কোনো ঘটনা ঘটাতে পারবেন না। আপনাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না। আমাদের মনে হয়েছে, এই লড়াইটা রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। আমার আহ্বান হচ্ছে আমরা জুলাইয়ের যে সাহস,যে পাওয়ার থেকে যাওয়ার পরে মাথা উঁচিয়ে করে দাঁড়ানো, এটা যেন ভুলে না যাই।তিনি জণগনের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি কাউকে দেখেন যে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে ভুল পথে হাঁটছে, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, বাংলাবাজি, লুটপাট, ঘুষখোরি, মাদকের বিরুদ্ধে কালো টাকা থেকে শুরু করে অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে, সেটা যে কেউই হোক না কেন, যত বড় দলী হোক কিংবা আমাদের মত কোনো যদি সহযোদ্ধা হয়, আপনারা তাদের বিপক্ষে চৌকসভাবে আপনাদেরকে দাঁড়াতে হবে। যেদিন আমরা কোন একটা দল, ব্যক্তি কিংবা বসকে আবার ভয় পাওয়া শুরু করব, প্রশ্ন করা থামিয়ে দিব, কথা বলা বন্ধ করে দিব, এই দিন থেকে আরেকজন ফ্যাসিস্ট তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। এছাড়াও ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, ইয়াসিরুল কবীর সৌরভ এবং গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৮ই জুলাই কুষ্টিয়ায় পদযাত্রা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ। পরে ৯ই জুলাই ঝিনাইদহ শহরে পদযাত্রা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ করে নেতৃবৃন্দ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা এই আয়োজন করে।উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গত ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করেছে। এক মাসে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া—বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সফর করবে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা।