০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সদস্য-সচিব পদে মো. হাদিছ মিয়া-ই সেরা, বিএনপির হৃদপিণ্ড আঠারোবাড়িতে

  • Miah Suleman
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৪৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • 1186
ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ইউনিয়নভিত্তিক বিএনপির কমিটি গঠনের তৎপরতা জোরদার হয়েছে। এরই মধ্যে আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পদের জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন মো. হাদিছ মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়, জনবান্ধব মনোভাব ও দলীয় দুঃসময়ে অবিচল অবস্থান তাঁকে তৃণমূলের কাছে প্রিয় মুখ করে তুলেছে।
হাদিছ মিয়া ১৯৯৭ সাল থেকে রাজনীতির অঙ্গনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা ঘটে। তিনি প্রথমে কলেজ ছাত্রদলের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক নিযুক্ত হন এবং পরপর দুইবার সভাপতি হিসেবে সফলভাবে নেতৃত্ব দেন।
পরে তিনি ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (জয়েন্ট সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক দক্ষতা, সাংগঠনিক তৎপরতা ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে তিনি ধাপে ধাপে এগিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং নিরলস পরিশ্রম তাঁকে একজন জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
দলের সংকটময় মুহূর্তে রাজপথে সাহসী ভূমিকার জন্য একাধিকবার তিনি গ্রেফতার হন এবং রাজনৈতিক মামলার সম্মুখীনও হন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, তার অভিজ্ঞতা, সংগ্রাম ও সাংগঠনিক দক্ষতাই তাঁকে এ পদে সবচেয়ে উপযুক্ত করেছে।
কেন্দ্রিয় পর্যায় থেকে উপজেলার সকল নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত হাদিছ মিয়া শুধু নেতৃত্ব নয়, সংগঠনকে গতিশীল রাখার ক্ষেত্রেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হাদিছ মিয়া-
জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই হাদিছ মিয়ার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে নেতৃত্ব গঠিত হওয়া উচিত, দলীয় স্বার্থ নয়।”
তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে তৃণমূল কর্মীদের গুরুত্ব ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির অঙ্গীকার।
“প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও তৃণমূল নেতাকর্মীর সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে একটি কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক কমিটি গঠনই আমার লক্ষ্য।”
হাদিছ মিয়া মনে করেন, রাজনীতি মানে শুধু নেতৃত্ব নয়, জনগণের কথা শোনা এবং সমস্যা সমাধানে কাজ করা। “আমাদের রাজনীতি হবে মানুষের সমস্যা সমাধানে নিবেদিত। তাই আমি সাধারণ মানুষের বক্তব্য শুনে পরিকল্পনা গ্রহণে বিশ্বাস করি,” — বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রজন্ম ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে আমরা একটি আধুনিক, উদ্যমী এবং ঐক্যবদ্ধ দল গড়ে তুলবো। বিভেদ নয়, ঐক্যের ভিত্তিতে দলকে এগিয়ে নিতে চাই আমরা।”
সুরুজ বাঙ্গালি, ইউপি সদস্য-৯নং ওয়ার্ড বলেন, “তিনি শুধু একজন রাজনীতিক নন, বরং একজন দূরদর্শী নেতৃত্ব, যিনি জনমানুষের চাহিদা ও স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য সদা সচেষ্ট। স্বচ্ছতা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের সমন্বয়ে তিনি রাজনীতিকে করেছেন জনগণের সেবার প্রকৃত মাধ্যম।”
তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন, আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে মো. হাদিছ মিয়ার বিকল্প নেই।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিশুশ্রম নিরসনের বেশি প্রাধান্য দিবে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সদস্য-সচিব পদে মো. হাদিছ মিয়া-ই সেরা, বিএনপির হৃদপিণ্ড আঠারোবাড়িতে

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৪৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ইউনিয়নভিত্তিক বিএনপির কমিটি গঠনের তৎপরতা জোরদার হয়েছে। এরই মধ্যে আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব পদের জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন মো. হাদিছ মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়, জনবান্ধব মনোভাব ও দলীয় দুঃসময়ে অবিচল অবস্থান তাঁকে তৃণমূলের কাছে প্রিয় মুখ করে তুলেছে।
হাদিছ মিয়া ১৯৯৭ সাল থেকে রাজনীতির অঙ্গনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা ঘটে। তিনি প্রথমে কলেজ ছাত্রদলের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক নিযুক্ত হন এবং পরপর দুইবার সভাপতি হিসেবে সফলভাবে নেতৃত্ব দেন।
পরে তিনি ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (জয়েন্ট সেক্রেটারি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক দক্ষতা, সাংগঠনিক তৎপরতা ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে তিনি ধাপে ধাপে এগিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং নিরলস পরিশ্রম তাঁকে একজন জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
দলের সংকটময় মুহূর্তে রাজপথে সাহসী ভূমিকার জন্য একাধিকবার তিনি গ্রেফতার হন এবং রাজনৈতিক মামলার সম্মুখীনও হন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, তার অভিজ্ঞতা, সংগ্রাম ও সাংগঠনিক দক্ষতাই তাঁকে এ পদে সবচেয়ে উপযুক্ত করেছে।
কেন্দ্রিয় পর্যায় থেকে উপজেলার সকল নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত হাদিছ মিয়া শুধু নেতৃত্ব নয়, সংগঠনকে গতিশীল রাখার ক্ষেত্রেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হাদিছ মিয়া-
জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই হাদিছ মিয়ার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, জনগণের মতামতের ভিত্তিতে নেতৃত্ব গঠিত হওয়া উচিত, দলীয় স্বার্থ নয়।”
তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে তৃণমূল কর্মীদের গুরুত্ব ও অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির অঙ্গীকার।
“প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও তৃণমূল নেতাকর্মীর সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে একটি কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক কমিটি গঠনই আমার লক্ষ্য।”
হাদিছ মিয়া মনে করেন, রাজনীতি মানে শুধু নেতৃত্ব নয়, জনগণের কথা শোনা এবং সমস্যা সমাধানে কাজ করা। “আমাদের রাজনীতি হবে মানুষের সমস্যা সমাধানে নিবেদিত। তাই আমি সাধারণ মানুষের বক্তব্য শুনে পরিকল্পনা গ্রহণে বিশ্বাস করি,” — বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রজন্ম ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে আমরা একটি আধুনিক, উদ্যমী এবং ঐক্যবদ্ধ দল গড়ে তুলবো। বিভেদ নয়, ঐক্যের ভিত্তিতে দলকে এগিয়ে নিতে চাই আমরা।”
সুরুজ বাঙ্গালি, ইউপি সদস্য-৯নং ওয়ার্ড বলেন, “তিনি শুধু একজন রাজনীতিক নন, বরং একজন দূরদর্শী নেতৃত্ব, যিনি জনমানুষের চাহিদা ও স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য সদা সচেষ্ট। স্বচ্ছতা, মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের সমন্বয়ে তিনি রাজনীতিকে করেছেন জনগণের সেবার প্রকৃত মাধ্যম।”
তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন, আঠারোবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে মো. হাদিছ মিয়ার বিকল্প নেই।