
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী, নেছারাবাদ) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমনকে দেখতে চান স্থানীয় জনগণ। দলীয় কর্মকাণ্ডে তাঁর দীর্ঘদিনের সক্রিয় অংশগ্রহণ, তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয়তা এবং নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে সাধারণ মানুষ মনে করছেন, সুমনই হতে পারেন এই আসনের যোগ্য প্রতিনিধি। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, “সুমন ভাই দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন। দুঃসময়ে দলকে আগলে রেখেছেন। তিনি দল এবং জনগণের পাশে থেকেছেন সবসময়।” এদিকে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে। অনেকে মনে করছেন, একজন তরুণ, যোগ্য, জনপ্রিয় ও পরিশ্রমী নেতাকে পিরোজপুর-২ আসনে মনোনয়ন দিলে বিএনপির হারানো আসন পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। তাই এই মুহূর্তে সার্বিক দিক বিবেচনা করে দলের স্বার্থে সোহেল মঞ্জুর সুমনের মত ত্যাগী ও একজন ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদের প্রয়োজন। শিক্ষা ও পেশাদারিত্ব: ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও নটরডেম কলেজ থেকে সুনামের সাথে এইচএসসি পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য থাইল্যান্ডের অ্যাসাম্পশন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ হিউস্টন, টেক্সাস থেকে এমবিএ শেষ করে নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে। গার্মেন্টস খাতে তার সফল ব্যবসা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অর্জনের সীমায় সীমাবদ্ধ নয়; বরং তিনি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। তিনি কেবল একজন সফল গার্মেন্টস ব্যবসায়ী নন, বরং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একজন সাহসী সৈনিক, দলের নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক এবং গণমানুষের চোখে একজন বিশ্বস্ত পথপ্রদর্শক।
আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমনের বর্ণাঢ্য ও রাজনৈতিক জীবন: জন্মসূত্রে তিনি রাজনৈতিক ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। সাবেক এম.এন.এ ও এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের বেসামরিক প্রধান এডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ছেলে আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন। তার মা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাক্তার সুফিয়া বেগম। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ভান্ডারিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ও পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পিরোজপুর-২ আসনে গত ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম মঞ্জুর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার এবং হামলাতে তার জিপ গাড়ি মারাত্মকভাবে ভাঙচুর করা হয়। এতে গাড়িচালক ও সফর সঙ্গীরা গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে প্রধান আসামি করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান আছে।
সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনার সাথে জড়িত। বহুবিধ সামাজিক সংগঠন ও ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সামাজিক এবং জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এ বিষয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, “আমি বিএনপির আদর্শ, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও জনগণের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি। এই দলই একমাত্র জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে আসছে। আমি এই রাজনৈতিক দর্শনকে ধারণ করে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।”তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। বিএনপি বরাবরই সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি এমপি নির্বাচিত হলে এলাকার অবহেলিত জনগণ, যুবসমাজ ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করবো। উন্নয়ন হবে বৈষম্যহীন, সবাই পাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার।”তিনি দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।” এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে এ অঞ্চলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।