
রংপুরের ফুতফাত গুলো এখন হকার ও ভাসমান ব্যাবসায়ীদের দখলে, দিন যাচ্ছে নতুন নতুন দোকান বসছে। ফলে দিন দিন রংপুর শহরের ফুতফাত ও রাস্তা গুলো সংকুচিত হচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর কাচারি বাজার এলাকা থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর পর্যন্ত ফুতফাত ও রাস্তা হকার ও ভাসমান ব্যাবসায়ীর
দখলে রয়েছে।রংপুর মহানগরীতে কি পরিমাণ হকার ও ভাসমান ব্যাবসায়ী রয়েছে তার কোনো সঠিক হিসাব নেই কারো কাছে। শুধু তাই নয় এসব হকার ও ভাসমান ব্যাবসায়ীদের দখলে থাকা জায়গার মালিকানার দাবীদার রয়েছে বলে জানাগেছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে-রংপুর মহানগরীর ফুতফাত গুলোতে ব্যাবসা করতে হলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের পাশাপাশি দলীয় নেতাদের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের বসতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রভাবশালী ও দলীয় নেতাদের শর্ত অনুযায়ী তাদের এই চাঁদার বিষয় টি ও মাসিক মাসোয়ারার বিষয় সম্পুর্ন গোপন রাখাতে বলা হয়েছে।এদিকে রংপুর মহানগর এলাকায় ফুতফাত গুলো হকার ও ভাসমান ব্যাবসায়ীদের দখল উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার উদ্যোগ করা হলেও তা কোনো ভাবেই কাজে আসছে না বলে জানাগেছে। তাই রংপুর মহানগর এলাকায় যানজটের পাশাপাশি পথচারী চলাচলে বিগ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।নগরীর এই বেহাল দশা নিয়ে পথচারী জুয়েল ও ইসমুলের সাথে কথা হলে তারা জানায়-জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে শহরের ফুতফাত ও রাস্তা গুলো দখলের মহা উৎসব শুরু হয়েছে বর্তমান শহরের ফুতফাত ও রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুঃসাধ্য
বিষয় হয়ে পড়েছে। রংপুর মহানগর এলাকায় সাধারণ মানুষ অবিলম্বে মহানগর এলাকার প্রাণকেন্দ্র হতে হকার ও ভাসমান ব্যাবসায়ীদের উচ্ছেদ করে শহরের ফুতফাত দখল মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।।