০৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নলছিটিতে জমি দখল করলেন সর্বদলীয় প্রভাবশালী ঠিকাদার মাহফুজ খান

দিনের আলোতে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকার ব্যবসায়ী কামরুল মেম্বারের ‘মাশাআল্লাহ রেষ্টুরেন্ট’ এর সামনের জায়গা নিজস্ব বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দখল করেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে মেসার্স মাহফুজ খান লিমিটেড, এম খান গ্রুপ, মেসার্স এম. খান ফিলিং স্টেশন ও এম খান -৭ লঞ্চের মালিক মোঃ মাহফুজ খানের বিরুদ্ধে। দিনে দখল করেই রাতে সেখানে গাড়ি রেখেছেন।
শনিবার (২ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি এ দখল কার্যক্রম চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে মাশাআল্লাহ রেস্টুরেন্টর মালিক ব্যবসায়ী কামরুল মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, আমার রেস্টুরেন্টের জমির সিমানা নির্ধারন করে পিলার দিয়ে দিয়েছিলেন মাহফুজ খান। হঠাৎ করে ২ আগষ্ট তার লোকজন তার নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে দখল করেছেন। তিনি বলেন, এই দখলবাজি তার মত একজন ঠিকাদারের শোভা পায়না।
স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার মাহফুজ খানের লোকজন তার নির্দেশে তারই বুলডোজার দিয়ে কামরুল মেম্বারের দোকানের সিমানা পিলার, জনসাধারনের জন্য ব্যবহৃত পানির স্থাপনা, রেস্টুরেন্টের স্থাপনা ভেঙ্গে দখল করে নেন। মাহফুজ খানের এ দখল কার্যক্রমের খবর ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ধিক্কার জানিয়েছেন সচেতন মহল।
প্রভাবশালী এই ঠিকাদার মাহফুজ খান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ পরিবারের এক সদস্যকে ব্যবসায়ীক পার্টনার করেন মাহফুজ খান লিমিটেডে। তার প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ করেছেন। গত পাচঁ বছরে পাঁচ শতাধিক কাজ করেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর রাতারাতি হয়ে যান বিএনপি সমর্থক। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মেতে উঠেছেন জমি দখল প্রতিযোগীতায়। মাহফুজ খান বার বার বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য অসংখ্যবার সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন। সড়ক নির্মাণ, প্রশস্তকরণ ও সংস্কারকাজে অনিয়ম,সেতু নির্মানে ধীরগতিসহ অসংখ্য অভিযোগ মাহফুজ খানের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে- ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে শীর্ষ তালিকায় থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম মো. মাহফুজ খান লিমিটেড। তারা পাঁচ বছরে পাঁচ শতাধিক কাজ করেছে। মাহফুজ খানের বাড়ি বরিশাল ও নলছিটিতে। বরিশাল অঞ্চলে সওজ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি কাজ একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। স্থানীয় সূত্র বলছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর সখ্যতার কারনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সড়ক, ড্রেন নির্মানেরও কাজ করেছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য শোনার জন্য মাহফুজ খানের মোবাইলে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ না করে কেটে দেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মদন উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির কমিটি ঘোষণা

নলছিটিতে জমি দখল করলেন সর্বদলীয় প্রভাবশালী ঠিকাদার মাহফুজ খান

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৪৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
দিনের আলোতে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকার ব্যবসায়ী কামরুল মেম্বারের ‘মাশাআল্লাহ রেষ্টুরেন্ট’ এর সামনের জায়গা নিজস্ব বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দখল করেছে অভিযোগ পাওয়া গেছে মেসার্স মাহফুজ খান লিমিটেড, এম খান গ্রুপ, মেসার্স এম. খান ফিলিং স্টেশন ও এম খান -৭ লঞ্চের মালিক মোঃ মাহফুজ খানের বিরুদ্ধে। দিনে দখল করেই রাতে সেখানে গাড়ি রেখেছেন।
শনিবার (২ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি এ দখল কার্যক্রম চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে মাশাআল্লাহ রেস্টুরেন্টর মালিক ব্যবসায়ী কামরুল মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, আমার রেস্টুরেন্টের জমির সিমানা নির্ধারন করে পিলার দিয়ে দিয়েছিলেন মাহফুজ খান। হঠাৎ করে ২ আগষ্ট তার লোকজন তার নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে দখল করেছেন। তিনি বলেন, এই দখলবাজি তার মত একজন ঠিকাদারের শোভা পায়না।
স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার মাহফুজ খানের লোকজন তার নির্দেশে তারই বুলডোজার দিয়ে কামরুল মেম্বারের দোকানের সিমানা পিলার, জনসাধারনের জন্য ব্যবহৃত পানির স্থাপনা, রেস্টুরেন্টের স্থাপনা ভেঙ্গে দখল করে নেন। মাহফুজ খানের এ দখল কার্যক্রমের খবর ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ধিক্কার জানিয়েছেন সচেতন মহল।
প্রভাবশালী এই ঠিকাদার মাহফুজ খান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ পরিবারের এক সদস্যকে ব্যবসায়ীক পার্টনার করেন মাহফুজ খান লিমিটেডে। তার প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ করেছেন। গত পাচঁ বছরে পাঁচ শতাধিক কাজ করেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর রাতারাতি হয়ে যান বিএনপি সমর্থক। বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মেতে উঠেছেন জমি দখল প্রতিযোগীতায়। মাহফুজ খান বার বার বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য অসংখ্যবার সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন। সড়ক নির্মাণ, প্রশস্তকরণ ও সংস্কারকাজে অনিয়ম,সেতু নির্মানে ধীরগতিসহ অসংখ্য অভিযোগ মাহফুজ খানের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে- ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে শীর্ষ তালিকায় থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম মো. মাহফুজ খান লিমিটেড। তারা পাঁচ বছরে পাঁচ শতাধিক কাজ করেছে। মাহফুজ খানের বাড়ি বরিশাল ও নলছিটিতে। বরিশাল অঞ্চলে সওজ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারি কাজ একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। স্থানীয় সূত্র বলছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর সখ্যতার কারনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সড়ক, ড্রেন নির্মানেরও কাজ করেছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য শোনার জন্য মাহফুজ খানের মোবাইলে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ না করে কেটে দেন।