০৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে চিংড়ি শিকার: বন বিভাগের অভিযানে নৌকা ও বিপজ্জনক উপকরণ জব্দ

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আওতাধীন আন্দারমানিক ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র সংলগ্ন আওরাবের ভারানী এলাকায় বিষপ্রয়োগে চিংড়ি শিকারের অভিযোগে একটি নৌকা এবং বিপজ্জনক উপকরণ জব্দ করেছে বন বিভাগের টহল দল।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেল আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটে নিয়মিত টহলের সময় আন্দারমানিক টহল ফাঁড়ির সদস্যরা সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা একটি নৌকা চিহ্নিত করে। পরে সেটিকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে বন বিভাগ দুইটি ককশিটের একটি থেকে বরফ মেশানো আনুমানিক ১৫ কেজি কাটালি চিংড়ি এবং অপরটি থেকে ৬টি বিষের বোতল উদ্ধার করে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় একটি বড় রামদাও।
এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আমরা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কেউ বিষ প্রয়োগ করে মাছ বা চিংড়ি আহরণ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত নৌকা ও উদ্ধার হওয়া উপকরণ বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। সুন্দরবনের পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ ও চিংড়ি আহরণ একটি গুরুতর পরিবেশগত অপরাধ। এতে জলজ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয় এবং স্থানীয় বাস্তুসংস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে আইনানুগ ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মদন উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির কমিটি ঘোষণা

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে চিংড়ি শিকার: বন বিভাগের অভিযানে নৌকা ও বিপজ্জনক উপকরণ জব্দ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আওতাধীন আন্দারমানিক ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র সংলগ্ন আওরাবের ভারানী এলাকায় বিষপ্রয়োগে চিংড়ি শিকারের অভিযোগে একটি নৌকা এবং বিপজ্জনক উপকরণ জব্দ করেছে বন বিভাগের টহল দল।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেল আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটে নিয়মিত টহলের সময় আন্দারমানিক টহল ফাঁড়ির সদস্যরা সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা একটি নৌকা চিহ্নিত করে। পরে সেটিকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।
নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে বন বিভাগ দুইটি ককশিটের একটি থেকে বরফ মেশানো আনুমানিক ১৫ কেজি কাটালি চিংড়ি এবং অপরটি থেকে ৬টি বিষের বোতল উদ্ধার করে। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় একটি বড় রামদাও।
এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আমরা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কেউ বিষ প্রয়োগ করে মাছ বা চিংড়ি আহরণ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত নৌকা ও উদ্ধার হওয়া উপকরণ বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় রয়েছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। সুন্দরবনের পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের স্বার্থে ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ ও চিংড়ি আহরণ একটি গুরুতর পরিবেশগত অপরাধ। এতে জলজ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয় এবং স্থানীয় বাস্তুসংস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে আইনানুগ ব্যবস্থা জোরদার করেছে।