০৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবন ঘেঁষা সাতক্ষীরার সুপারি ঘাটায় জলাবদ্ধতায় জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ

চলতি বর্ষা মৌসুমে আগাম অতিবৃষ্টির ফলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সুপারি ঘাটা গ্রাম চরম জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। লাগাতার বৃষ্টিপাতে গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
জলাবদ্ধতার ফলে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বসতবাড়ির ভেতরে পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাবান্না, টয়লেট ব্যবহার এবং দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শিশুদের নিয়ে পরিবারগুলো চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে, কারণ সামান্য অসাবধানতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমনকি শিশুদের পানিতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
এছাড়াও, জলাবদ্ধতার কারণে বিষধর সাপ ও অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় প্রতিনিয়ত ঘরে ঢুকে পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন পানিবন্দি অবস্থায় থাকা পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানান, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষার পানি জমে থাকে। নদী খননের সময় পরিকল্পনার অভাবে নদীর উচ্চতা বেড়েছে এবং তার আশপাশে অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের তৈরি হওয়ায় পানি সঠিকভাবে নিষ্কাশন হতে পারছে না। রাস্তার ধারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা আরও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই দুর্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি—চেয়ারম্যান ও মেম্বার কেউ খোঁজখবর নিতে আসেননি। ভুক্তভোগীরা জানান, এখনো পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থা থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণ দাবি করছেন:
দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
নদী খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সুপরিকল্পিত করতে হবে;
অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের অপসারণ করতে হবে;
জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে;
জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করতে হবে।
এলাকাবাসীর আহ্বান, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মানবিক সহায়তাকারী এনজিও—বিশেষ করে একসানএইড-এর মতো সংগঠনগুলো যেন দ্রুত এগিয়ে এসে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মদন উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির কমিটি ঘোষণা

সুন্দরবন ঘেঁষা সাতক্ষীরার সুপারি ঘাটায় জলাবদ্ধতায় জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
চলতি বর্ষা মৌসুমে আগাম অতিবৃষ্টির ফলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সুপারি ঘাটা গ্রাম চরম জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। লাগাতার বৃষ্টিপাতে গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
জলাবদ্ধতার ফলে স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বসতবাড়ির ভেতরে পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাবান্না, টয়লেট ব্যবহার এবং দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শিশুদের নিয়ে পরিবারগুলো চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে, কারণ সামান্য অসাবধানতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এমনকি শিশুদের পানিতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
এছাড়াও, জলাবদ্ধতার কারণে বিষধর সাপ ও অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় প্রতিনিয়ত ঘরে ঢুকে পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন পানিবন্দি অবস্থায় থাকা পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে জানান, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষার পানি জমে থাকে। নদী খননের সময় পরিকল্পনার অভাবে নদীর উচ্চতা বেড়েছে এবং তার আশপাশে অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের তৈরি হওয়ায় পানি সঠিকভাবে নিষ্কাশন হতে পারছে না। রাস্তার ধারে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা আরও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই দুর্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি—চেয়ারম্যান ও মেম্বার কেউ খোঁজখবর নিতে আসেননি। ভুক্তভোগীরা জানান, এখনো পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থা থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণ দাবি করছেন:
দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
নদী খনন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে সুপরিকল্পিত করতে হবে;
অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের অপসারণ করতে হবে;
জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে;
জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করতে হবে।
এলাকাবাসীর আহ্বান, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মানবিক সহায়তাকারী এনজিও—বিশেষ করে একসানএইড-এর মতো সংগঠনগুলো যেন দ্রুত এগিয়ে এসে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।