
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মহদীপুর-হিলালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধ অবশেষে নিস্পত্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ১১টায় বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক সমঝোতা বৈঠকে এ বিরোধের অবসান ঘটে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগসহ স্কুল পরিচালনার বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বিরোধ শুরু হয়। এ নিয়ে বিদ্যালয়ে একাধিকবার মানববন্ধন, হাতাহাতি, এবং উভয় পক্ষের মধ্যে মামলার মোকাদ্দমার মতো ঘটনা ঘটে। এমনকি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতিবাদের মুখে প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেননি।
ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান কালু জানান স্কুলের কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয় না থাকার কারণে আজকের এই পরিচিতি সৃষ্টি হয়েছে এখানে প্রধান শিক্ষক এবং তৎকালীন সভাপতি জাতীয় পাটির মুহিদুল ইসলাম নিজের খেয়ালখুশি মত স্কুল পরিচালনা করেছেন এটা স্পষ্ট যাই হোক আজকের এই সমাধানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান টি রক্ষা পেল এবং এলাকা বাসী স্বস্তি পেল।
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের মধ্যস্থতায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে একটি সমঝোতা বৈঠক আয়োজন করা হয়। বৈঠকে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক পূর্বের ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও বিষয়টির শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিতে সম্মত হন।
আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করতে হবে। পূর্বের বিষয় গুলো আজ থেকে ভুলে সবাই মিলে মিশে নতুন করে প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার মান উন্নত কল্পে কাজ শুরু করবেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবুল, সদস্য সচিব আশরাফ আলী মলিন, মনিগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হেলাল উদ্দিন রিয়াল, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মোল্লা, সাংগঠিনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান কালু, কামরুজ্জামান কমল এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।