০১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় প্রেমের ফাঁদে ধর্ষণ ও গর্ভপাত

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায়, বিয়ের আশ্বাসে এক তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে শৈলকুপা উপজেলার কৃষকদল নেতা কামরুল ইসলাম ও তার ছেলে নাজমুল খন্দকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে জানা গেছে, দুই বছর ধরে নাজমুল খন্দকারের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নাজমুল হচ্ছেন শৈলকূপা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলামের ছেলে। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে নাজমুল তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
বিষয়টি নাজমুলের পরিবার জানার পরও কোনো বাধা না দিয়ে উল্টো সম্পর্ক মেনে নেয়। এমনকি তরুণীটি নিয়মিত তাদের বাড়িতে যাতায়াতও করতেন।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত পরিবারটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রথমে ভুক্তভোগী পরিবারটি বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে থানায় অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়।
শৈলকূপা থানায়ও একটি পৃথক অভিযোগ করেন ওই নারী। সেই অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সম্রাট মন্ডল বলেন, মামলাটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জেলায় নিরাপদ খাদ্য আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

শৈলকুপায় প্রেমের ফাঁদে ধর্ষণ ও গর্ভপাত

পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায়, বিয়ের আশ্বাসে এক তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে শৈলকুপা উপজেলার কৃষকদল নেতা কামরুল ইসলাম ও তার ছেলে নাজমুল খন্দকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে জানা গেছে, দুই বছর ধরে নাজমুল খন্দকারের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নাজমুল হচ্ছেন শৈলকূপা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলামের ছেলে। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন সময়ে নাজমুল তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
বিষয়টি নাজমুলের পরিবার জানার পরও কোনো বাধা না দিয়ে উল্টো সম্পর্ক মেনে নেয়। এমনকি তরুণীটি নিয়মিত তাদের বাড়িতে যাতায়াতও করতেন।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত পরিবারটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রথমে ভুক্তভোগী পরিবারটি বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে থানায় অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়।
শৈলকূপা থানায়ও একটি পৃথক অভিযোগ করেন ওই নারী। সেই অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সম্রাট মন্ডল বলেন, মামলাটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।