
পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি অগভীর পুকুরে পড়ে অন্তরা আক্তার (১৬) নামে এক নবম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে উপজেলার সমুদয়কাঠি সাগরকান্দা গ্রামে মেয়েটি নিজেদের ঘরের পিছনে আড়াই থেকে তিন ফুট পানির অগভীর একটি পুকুরের এ ঘটনা ঘটেছে। স্বজনরা পানি থেকে অন্তরার নিস্তব্দ দেহ উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নবম শ্রেণী পড়ুয়া একটি ষোল বছর বয়সি মেয়ের এমন রহস্যজনক মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে মেয়ের মা,বাবা কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
অনুসন্ধানে প্রতিবেশিরা বলেছেন ভিন্ন কথা। তারা নাম না প্রকাশ শর্তে বলেন, মায়ের পরকীয়া দেখে ফেলায় মেয়েকে মায়ের কথিত প্রেমিক ও মা মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে। কারন,অন্তরার মা সংসারে দু’টি মেয়ে রেখে একবার তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। সেখানে একটি বাচ্চা হয়েছে। পূনরায় ওই মহিলা সাবেক স্বামীর কাছে এসেছে। এখানে এসে স্থানীয় রিয়াজ মৃধা নামে এক লোকের সাথে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন অন্তরার মা। প্রেমের সুবাধে রিয়াজ প্রায় সময় অন্তরাদের বাসায় আসা যাওয়া করত। অন্তরা বিষয়টি ভালভাবে মেনে নিতনা। এ নিয়ে প্রায় সময় মা মেয়ের ঝগড়া লেগেই থাকত। বৃহস্পতিবার সকালে শুনি অন্তরা পানিতে পড়ে মারা গেছে। আমরা খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি,সেখানে আমরা যাবার পূর্বে রিয়াজ মৃধা ওই সকালে তাদের বাসায়। প্রতিবেশিরা আরো বলেন, অন্তরা যদি পানিতে ডুবে মারা যেত, তাহলে তার পেট ফুলে যেত।
অন্তরার বোড় বোন মিম আক্তার বলেন, তার বোন স্থানীয় শশিদ অশ্বত্থকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। তিনি বলেন, অন্তরাকে সকাল আটটায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। সকালে সে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার বোন ঘরে নেই। এসময় সে ঘরের পিছনে পুকুরের মধ্য তার বোনকে ভাসতে দেখে চিৎকার দেয়। এসময় তার মা ছুটে গিয়ে অন্তরাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্তরা ওই গ্রামের দিনমজুর মো: আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। ছোট একটি ওই অগভীর পুকুরে পড়ে তার বোনের মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, মিম বলেন, আমিতো দেখিনি কিভাবে মারা গেছে। ঘুম থেকে উঠে দেখি পানির ভিতরে ভাসছে। তাই সঠিক বলতে পারবোনা।
এ বিষয়ে রিয়াজ মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে কারো কোন পরকীয়া প্রেম নেই। আমি রাজনীতি করি। কেউ আমাকে ফাসাতে চাচ্ছে। তাহলে ওই সকালে আপনি কেন ওই সকাকে তাদের বাড়ীতে গিয়েছিলেন পুনরায় জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমি পাশের বাজারে চা খাচ্ছিলাম। কান্নাকাটি শুনে গিয়েছিলাম।