১০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্পদের পাহাড় গড়েছেন চকরিয়া ইউএনও’র অফিস সহায়ক সালাহউদ্দিন

  • কফিল উদ্দিন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • 126
> গ্রাম ও শহরে কোটি টাকার বাড়ি
> জাল সনদে চাকরি
> এলাকাভিত্তিক সিন্ডিকেট তৈরি
> দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের(ইউএনও অফিসের) পিওন সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে । সামান্য একজন পিয়ন ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে কর্মরত বিশাল সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন জনমনে প্রশ্ন উঠেছে ।
সরেজমিনে জানাযায়, তিনি বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজারের উখিয়া, পেকুয়া উপজেলায় কর্মরত ছিলেন । সবশেষে  চকরিয়াতে কর্মরত । অফিসে সেবাপ্রার্থীদের জিম্মি করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে যতসব জালিয়াতি কাজ করে থাকেন। পেকুয়া থাকা অবস্থায় ঘুষের লেনদেন করার কারণে চকরিয়াতে বদলি করা হয় । সামান্য পিয়ন পদে চাকরির সুবাদে নিজ গ্রাম চকরিয়া উপজেলা বরইতলী ইউনিয়নে পহরচাঁদা ৮নং ওয়ার্ডের সবুজপাড়ায় সরকারি খাস জায়গায় কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি করেছে । চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট খতিবের হাটে ছায়ানীড় নামক বিল্ডিং টপ ফ্লোরে ফ্ল্যাট নেন কোটি টাকায় ।
বিভিন্ন সময়ে নিজেকে বিএনপির বড় নেতা দাবি, বিশেষ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের আপনজন পরিচয় দিয়ে ইউএনওকে জিম্মি করে অবৈধ বালু উত্তোলন, মাটিকাটা , টেন্ডারের টাকার ভাগ নেন এই পিয়ন ।
এই পিয়নের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের মেশিন বসানো হয়েছে । চকরিয়ার প্রায় ইউনিয়নে প্রকল্প দেয়ার নামে মোটা অংকের ঘুষ নেন পিয়ন সালাহউদ্দিন । বরইতলীতে তার বড় ভাই নাছিরের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন করার অভিযোগ আছে ।
সরেজমিনে জানা যায়, যেই মাদ্রাসার প্রত্যয়নে পিয়নের চাকরি নিয়েছেন সেই সনদও ভুয়া ।  চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার চাগাচর মূছাবিয়া নছীমিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দুটি প্রত্যয়নপত্র প্রতিবেদকের হাতে এসেছে । সেখানে জন্ম তারিখ , পাশের সাল একেকটি ভিন্ন ভিন্ন । তাছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে চকরিয়া উপজেলায় টিসিবির দুটি ডিলার হাতিয়ে নিয়েছেন , ইতিমধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ কর্তৃক ডিলার বাতিল করেছেন ।
এইসব বিষয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনসহ একাধিক দপ্তরে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা ।
অভিযুক্ত অফিস সহায়ক সালাহউদ্দিন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, জালসনদ ও অনিয়মের ব্যাপারে আমি অবগত নয় ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নালিতাবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী মহা পবিত্র ঈদে গাদীরে খুম উৎযাপন

সম্পদের পাহাড় গড়েছেন চকরিয়া ইউএনও’র অফিস সহায়ক সালাহউদ্দিন

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
> গ্রাম ও শহরে কোটি টাকার বাড়ি
> জাল সনদে চাকরি
> এলাকাভিত্তিক সিন্ডিকেট তৈরি
> দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের(ইউএনও অফিসের) পিওন সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে । সামান্য একজন পিয়ন ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে কর্মরত বিশাল সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন জনমনে প্রশ্ন উঠেছে ।
সরেজমিনে জানাযায়, তিনি বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজারের উখিয়া, পেকুয়া উপজেলায় কর্মরত ছিলেন । সবশেষে  চকরিয়াতে কর্মরত । অফিসে সেবাপ্রার্থীদের জিম্মি করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে যতসব জালিয়াতি কাজ করে থাকেন। পেকুয়া থাকা অবস্থায় ঘুষের লেনদেন করার কারণে চকরিয়াতে বদলি করা হয় । সামান্য পিয়ন পদে চাকরির সুবাদে নিজ গ্রাম চকরিয়া উপজেলা বরইতলী ইউনিয়নে পহরচাঁদা ৮নং ওয়ার্ডের সবুজপাড়ায় সরকারি খাস জায়গায় কোটি টাকার ডুপ্লেক্স বাড়ি করেছে । চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট খতিবের হাটে ছায়ানীড় নামক বিল্ডিং টপ ফ্লোরে ফ্ল্যাট নেন কোটি টাকায় ।
বিভিন্ন সময়ে নিজেকে বিএনপির বড় নেতা দাবি, বিশেষ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের আপনজন পরিচয় দিয়ে ইউএনওকে জিম্মি করে অবৈধ বালু উত্তোলন, মাটিকাটা , টেন্ডারের টাকার ভাগ নেন এই পিয়ন ।
এই পিয়নের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের মেশিন বসানো হয়েছে । চকরিয়ার প্রায় ইউনিয়নে প্রকল্প দেয়ার নামে মোটা অংকের ঘুষ নেন পিয়ন সালাহউদ্দিন । বরইতলীতে তার বড় ভাই নাছিরের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন করার অভিযোগ আছে ।
সরেজমিনে জানা যায়, যেই মাদ্রাসার প্রত্যয়নে পিয়নের চাকরি নিয়েছেন সেই সনদও ভুয়া ।  চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার চাগাচর মূছাবিয়া নছীমিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার দুটি প্রত্যয়নপত্র প্রতিবেদকের হাতে এসেছে । সেখানে জন্ম তারিখ , পাশের সাল একেকটি ভিন্ন ভিন্ন । তাছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে চকরিয়া উপজেলায় টিসিবির দুটি ডিলার হাতিয়ে নিয়েছেন , ইতিমধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ কর্তৃক ডিলার বাতিল করেছেন ।
এইসব বিষয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনসহ একাধিক দপ্তরে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা ।
অভিযুক্ত অফিস সহায়ক সালাহউদ্দিন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, জালসনদ ও অনিয়মের ব্যাপারে আমি অবগত নয় ।