১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়ায় পাকা রাস্তা না থাকায় ছয় গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তি

  • আ: রহিম গাজী
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৩৮:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • 195
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী থেকে মধুখালী পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক এখন ছয়টি গ্রামের মানুষের জন্য দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাটাখালী, চারখালী, মধুখালী, টুংগিবাড়িয়া, ফেলাবুনিয়া ও গাববুনিয়া গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই অপ্রশস্ত, কাদা-মাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাটাখালী থেকে মধুখালী পর্যন্ত রাস্তা জুড়ে বর্ষার পানিতে কাদা জমে হাঁটু পর্যন্ত। এই রাস্তার পাশে রয়েছে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী কাটাখালী বাজার। অথচ দীর্ঘদিনেও রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি।
এই রাস্তায় প্রতিদিন শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী হাটু পরিমাণ কাদা ডিঙিয়ে বিদ্যালয়ে যায়। অনেক সময় ভিজে জামাকাপড়, কাদামাখা বই-খাতা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে পৌঁছায়। এতে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।কাটাখালী হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মো: বাসেত খান বলেন, প্রায়  ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। বর্ষা এই রাস্তা খালের মতো হয়ে যায়। এই রাস্তার পাশেই তিনটি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় ও একটি হাইস্কুল। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা  এই দূর্ভোগ পেরিয়ে বিদ‍্যালয় আসে – তাদের কষ্ট চোখে দেখা যায় না।
তিনি আর ও বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি  আসে এইবার রাস্তা পাকা হবে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না।
বড়বাইশদিয়া  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফরাদ হোসাইন বলেন, রাস্তাটির আইডি নম্বরসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট  উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন প্রকৌশলী ভালো বলতে পারবেন কাজ কবে হবে।
এ বিষয়  উপজেলা  এলজিডি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব রাস্তাটির জন‍্য সব কাগজপত্র  আমাদের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে এখন ও কোনো  অনুমতি  আসেনি, টেন্ডার হয়নি।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নালিতাবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী মহা পবিত্র ঈদে গাদীরে খুম উৎযাপন

রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়ায় পাকা রাস্তা না থাকায় ছয় গ্রামের মানুষের চরম ভোগান্তি

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৩৮:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী থেকে মধুখালী পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক এখন ছয়টি গ্রামের মানুষের জন্য দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাটাখালী, চারখালী, মধুখালী, টুংগিবাড়িয়া, ফেলাবুনিয়া ও গাববুনিয়া গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই অপ্রশস্ত, কাদা-মাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাটাখালী থেকে মধুখালী পর্যন্ত রাস্তা জুড়ে বর্ষার পানিতে কাদা জমে হাঁটু পর্যন্ত। এই রাস্তার পাশে রয়েছে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী কাটাখালী বাজার। অথচ দীর্ঘদিনেও রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি।
এই রাস্তায় প্রতিদিন শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী হাটু পরিমাণ কাদা ডিঙিয়ে বিদ্যালয়ে যায়। অনেক সময় ভিজে জামাকাপড়, কাদামাখা বই-খাতা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে পৌঁছায়। এতে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।কাটাখালী হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মো: বাসেত খান বলেন, প্রায়  ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। বর্ষা এই রাস্তা খালের মতো হয়ে যায়। এই রাস্তার পাশেই তিনটি প্রাথমিক বিদ‍্যালয় ও একটি হাইস্কুল। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা  এই দূর্ভোগ পেরিয়ে বিদ‍্যালয় আসে – তাদের কষ্ট চোখে দেখা যায় না।
তিনি আর ও বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি  আসে এইবার রাস্তা পাকা হবে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না।
বড়বাইশদিয়া  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফরাদ হোসাইন বলেন, রাস্তাটির আইডি নম্বরসহ প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট  উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন প্রকৌশলী ভালো বলতে পারবেন কাজ কবে হবে।
এ বিষয়  উপজেলা  এলজিডি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব রাস্তাটির জন‍্য সব কাগজপত্র  আমাদের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে এখন ও কোনো  অনুমতি  আসেনি, টেন্ডার হয়নি।