১২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অহিংস দুর্নীতি-বিরোধী মঞ্চ মানববন্ধন

অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ একটি সামাজিক অধিকার সংগঠন যা ২০২১ সাল থেকে গ্রাম বাংলায় দুর্নীতি বিরোধী শক্তি গড়ে তোলায় কাজ করে যাচ্ছে। ঘুষ, টেন্ডার বাণিজ্য, মূল্যস্ফীত প্রকল্প, ব্যাংক দখল, চাঁদাবাজি এরকম বিভিন্ন পন্থায় দেশের সাধারণ জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় দুর্নীতিবাজরা দেশে
অবৈধ সম্পদের পাহাড় ও বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করেছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ২০২৪ সালে এক গবেষণায় ৫০ বছরে বাংলাদেশে থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা বলে জানায়৷ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, শেখ হাসিনার শাসনামলের গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রিটি (জিএফআই) বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ৯ হাজার কোটি বা ৯০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে৷ পাচারকৃত অর্থ গন্তব্য  দেশগুলোর তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইটযারল্যান্ড, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এর নাম।
অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত গণসংযোগ চালিয়ে দেশের ৪০ জেলায় ১ কোটি ৮০ লাখ অনুস্বাক্ষর নিয়েছে, দেশব্যাপি হাজার হাজার সংগঠক অজস্র উঠোন বৈঠক, ছোটো বড় সভা সমাবেশ করেছে। এসবের উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুর্নীতি যে করে তার বিরুদ্ধে তৃণমূল পর্যায় গণ সচেতনতা তৈরী করা, বিপুল অবৈধ সম্পদ ও পাচারকৃত অর্থ যে তারই ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় তা বুঝানো, এ সম্পদ উদ্ধারে সোচ্চার হওয়া ও উদ্ধারকৃত সম্পদে তাদের দাবীদার করে তোলা। এ লক্ষ্যে অহিংস গণ অভ্যুত্থান বাংলাদেশ দুর্নীতি বিরোধী একটি বিশেষ আইন প্রস্তাব করে- ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ যার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে একটি সরকারী জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগণের মাঝে বিনা সুদে বিনা জামানতে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার একটি আইনী কাঠামো প্রস্তাব করা হয় দেশের বরেণ্য আইনজীবিদের মাধ্যমে।
এই আইনী প্রস্তাবের সমর্থনে সংগঠনটি গত ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ শাহবাগে দেশব্যাপি সংগঠক ও সমর্থকদের নিয়ে একটি বৃহৎ সমাবেশ করতে গিয়ে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিভ্রান্তি ও ভুল বুঝাবুঝির স্বীকার হয় ও সমাবেশটি ভণ্ডুল হয়ে যায়। উপরন্তু সংগঠনটির নেতা, সংগঠকবৃন্দ, সমর্থকদের উপর, নারী পুরুষ, শিশু নির্বিশেষে নেমে আসে দেশব্যাপি মামলা হামলা, জেল জুলুমের খড়গ। বিগত আওয়ামী আমলে দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার থাকা সংগঠনের উপর আসে আওয়ামী দোসরের ট্যাগ। ২১ মামলায় অপরাধী ও আটক দেখানো হয় ১৫০ এরও অধিক। এ অন্যায় জুলুম সংগঠকরা দমেনি, বরং আইনের দাবীতে আরো সোচ্চার, জেল জুলুমের প্রতিবাদে জেলের বাইরে থাকা সংগঠকবৃন্দ ২৫শে নভেম্বর থেকেই ছিল প্রতিবাদ মুখর। এ পর্যন্ত নিয়মিত  মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির নেতাদের সাথে হয়েছে অজস্র আলাপচারিতা।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকের মানব বন্ধন অহিংস দুর্নীতি-বিরোধী মঞ্চের আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে, অন্তর্বর্তীকালীন ছাত্র জনতার সরকারের কাছে দাবী মূলত ৩টি,
১। দুর্নীতির টাকা উদ্ধার করো, সুদমুক্ত বিনা জামানতে গণমুখী বিনিয়োগ করো- অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করো
২। দুর্নীতি-বিরোধী আইনে অহিংসের ১ কোটি ৮০ লক্ষ অনুস্বাক্ষরকারীদের স্বীকৃতি দাও, জুলাই-অভ্যুত্থান গণ অভ্যুত্থানে রূপান্তর করো।
৩। অহিংসের শিশু, নারী-পুরুষ সংগঠকদের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা প্রত্যাহার, আহত-নিহত ক্ষতিগ্রস্থদের রাষ্ট্রীয়  সহযোগিতা নিশ্চিত করো।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে অন্তর্বর্তী সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে৷ কাজ করছে দুদক, সি আই ডি, এন বি আর, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সরকার দুর্নীতি বিরোধী একটি বিশেষ আইন নিয়েও কাজ করছে। ইতিমধ্যে সরকারের তথ্য সচিব মহোদয়ের বরাতে ১ লাখ কোটি টাকার উপর সম্পদ ও অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন দরিদ্রদের ঋণ দেবার জন্য একটি বিশেষ ফান্ড গঠন করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি লন্ডন সফরে বলেন অবৈধ অর্থ ফেরত দেয়া যেকোনো দেশের আইনগত ও নৈতিক বাদ্ধবাধকতার মধ্যে পরে। এ সকল দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্যোগ নিঃস্বন্দেহে প্রশংসনীয়।
তবে আমরা মনে করি এ সকল উদ্যোগের জনভিত্তি তৈরী করা অহিংসের ১ কোটি ৮০ লক্ষ জনগনকে সম্পৃক্ত না করা গেলে এ উদ্যোগের সফলতা, স্থায়িত্ব ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। গ্রামীণ দুর্নীতি বিরোধী এ বিশাল জনপদকে জুলাই অভ্যুত্থানের দুর্নীতি বিরোধী ইশতেহারে সম্পৃক্ত করা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানকে প্রকৃত গণ অভ্যুথানে রূপান্তর করা সম্ভব হবে বলেও আমরা মনে করি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইটযারল্যান্ড,  দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের টাকা আমাদের ফেরত দিতে আমাদের সরকারকে সহযোগিতা করুন।
এ বার্তাটি সরকার তথা জনগণের মাঝে পৌঁছে দেবার জন্য আমরা জুন’২০২৫ মাসের শেষে একটি বৃহৎ প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছি, যেখানে সকল রাজনৈতিক মহলের নেতারা আমাদের চাওয়ার সাথে একমত পোষণ করবেন। সকলে একমত হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক জোটেরও আত্মপ্রকাশ হতে পারে।
সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা সহ সমগ্র দেশবাসীর প্রতি আমাদের আবেদন, আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক ও ন্যায্য  মনে করলে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবেন ও অর্থনৈতিক বৈষম্য কাটিয়ে এক সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র গঠনে শামিল হবেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নালিতাবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী মহা পবিত্র ঈদে গাদীরে খুম উৎযাপন

অহিংস দুর্নীতি-বিরোধী মঞ্চ মানববন্ধন

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ একটি সামাজিক অধিকার সংগঠন যা ২০২১ সাল থেকে গ্রাম বাংলায় দুর্নীতি বিরোধী শক্তি গড়ে তোলায় কাজ করে যাচ্ছে। ঘুষ, টেন্ডার বাণিজ্য, মূল্যস্ফীত প্রকল্প, ব্যাংক দখল, চাঁদাবাজি এরকম বিভিন্ন পন্থায় দেশের সাধারণ জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় দুর্নীতিবাজরা দেশে
অবৈধ সম্পদের পাহাড় ও বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করেছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ২০২৪ সালে এক গবেষণায় ৫০ বছরে বাংলাদেশে থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ১১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা বলে জানায়৷ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, শেখ হাসিনার শাসনামলের গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রিটি (জিএফআই) বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ৯ হাজার কোটি বা ৯০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে৷ পাচারকৃত অর্থ গন্তব্য  দেশগুলোর তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইটযারল্যান্ড, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এর নাম।
অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত গণসংযোগ চালিয়ে দেশের ৪০ জেলায় ১ কোটি ৮০ লাখ অনুস্বাক্ষর নিয়েছে, দেশব্যাপি হাজার হাজার সংগঠক অজস্র উঠোন বৈঠক, ছোটো বড় সভা সমাবেশ করেছে। এসবের উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুর্নীতি যে করে তার বিরুদ্ধে তৃণমূল পর্যায় গণ সচেতনতা তৈরী করা, বিপুল অবৈধ সম্পদ ও পাচারকৃত অর্থ যে তারই ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় তা বুঝানো, এ সম্পদ উদ্ধারে সোচ্চার হওয়া ও উদ্ধারকৃত সম্পদে তাদের দাবীদার করে তোলা। এ লক্ষ্যে অহিংস গণ অভ্যুত্থান বাংলাদেশ দুর্নীতি বিরোধী একটি বিশেষ আইন প্রস্তাব করে- ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ যার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে একটি সরকারী জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগণের মাঝে বিনা সুদে বিনা জামানতে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার একটি আইনী কাঠামো প্রস্তাব করা হয় দেশের বরেণ্য আইনজীবিদের মাধ্যমে।
এই আইনী প্রস্তাবের সমর্থনে সংগঠনটি গত ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ শাহবাগে দেশব্যাপি সংগঠক ও সমর্থকদের নিয়ে একটি বৃহৎ সমাবেশ করতে গিয়ে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিভ্রান্তি ও ভুল বুঝাবুঝির স্বীকার হয় ও সমাবেশটি ভণ্ডুল হয়ে যায়। উপরন্তু সংগঠনটির নেতা, সংগঠকবৃন্দ, সমর্থকদের উপর, নারী পুরুষ, শিশু নির্বিশেষে নেমে আসে দেশব্যাপি মামলা হামলা, জেল জুলুমের খড়গ। বিগত আওয়ামী আমলে দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার থাকা সংগঠনের উপর আসে আওয়ামী দোসরের ট্যাগ। ২১ মামলায় অপরাধী ও আটক দেখানো হয় ১৫০ এরও অধিক। এ অন্যায় জুলুম সংগঠকরা দমেনি, বরং আইনের দাবীতে আরো সোচ্চার, জেল জুলুমের প্রতিবাদে জেলের বাইরে থাকা সংগঠকবৃন্দ ২৫শে নভেম্বর থেকেই ছিল প্রতিবাদ মুখর। এ পর্যন্ত নিয়মিত  মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তির নেতাদের সাথে হয়েছে অজস্র আলাপচারিতা।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকের মানব বন্ধন অহিংস দুর্নীতি-বিরোধী মঞ্চের আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে, অন্তর্বর্তীকালীন ছাত্র জনতার সরকারের কাছে দাবী মূলত ৩টি,
১। দুর্নীতির টাকা উদ্ধার করো, সুদমুক্ত বিনা জামানতে গণমুখী বিনিয়োগ করো- অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করো
২। দুর্নীতি-বিরোধী আইনে অহিংসের ১ কোটি ৮০ লক্ষ অনুস্বাক্ষরকারীদের স্বীকৃতি দাও, জুলাই-অভ্যুত্থান গণ অভ্যুত্থানে রূপান্তর করো।
৩। অহিংসের শিশু, নারী-পুরুষ সংগঠকদের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা প্রত্যাহার, আহত-নিহত ক্ষতিগ্রস্থদের রাষ্ট্রীয়  সহযোগিতা নিশ্চিত করো।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে অন্তর্বর্তী সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে৷ কাজ করছে দুদক, সি আই ডি, এন বি আর, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সরকার দুর্নীতি বিরোধী একটি বিশেষ আইন নিয়েও কাজ করছে। ইতিমধ্যে সরকারের তথ্য সচিব মহোদয়ের বরাতে ১ লাখ কোটি টাকার উপর সম্পদ ও অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন দরিদ্রদের ঋণ দেবার জন্য একটি বিশেষ ফান্ড গঠন করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি লন্ডন সফরে বলেন অবৈধ অর্থ ফেরত দেয়া যেকোনো দেশের আইনগত ও নৈতিক বাদ্ধবাধকতার মধ্যে পরে। এ সকল দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্যোগ নিঃস্বন্দেহে প্রশংসনীয়।
তবে আমরা মনে করি এ সকল উদ্যোগের জনভিত্তি তৈরী করা অহিংসের ১ কোটি ৮০ লক্ষ জনগনকে সম্পৃক্ত না করা গেলে এ উদ্যোগের সফলতা, স্থায়িত্ব ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। গ্রামীণ দুর্নীতি বিরোধী এ বিশাল জনপদকে জুলাই অভ্যুত্থানের দুর্নীতি বিরোধী ইশতেহারে সম্পৃক্ত করা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানকে প্রকৃত গণ অভ্যুথানে রূপান্তর করা সম্ভব হবে বলেও আমরা মনে করি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইটযারল্যান্ড,  দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের টাকা আমাদের ফেরত দিতে আমাদের সরকারকে সহযোগিতা করুন।
এ বার্তাটি সরকার তথা জনগণের মাঝে পৌঁছে দেবার জন্য আমরা জুন’২০২৫ মাসের শেষে একটি বৃহৎ প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছি, যেখানে সকল রাজনৈতিক মহলের নেতারা আমাদের চাওয়ার সাথে একমত পোষণ করবেন। সকলে একমত হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক জোটেরও আত্মপ্রকাশ হতে পারে।
সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা সহ সমগ্র দেশবাসীর প্রতি আমাদের আবেদন, আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক ও ন্যায্য  মনে করলে আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবেন ও অর্থনৈতিক বৈষম্য কাটিয়ে এক সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র গঠনে শামিল হবেন।