০৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে জাতীয় যুবশক্তির জেলা ও মহানগর সমন্বয় সভায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি: সাংগঠনিক কোন্দলে উত্তপ্ত পরিবেশ

গাজীপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় যুবশক্তির যৌথ জেলা সমন্বয় সভা চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর শহরের একটি স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে সভা শান্তিপূর্ণভাবে চললেও, সংগঠনের নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণ
সভার এক পর্যায়ে মহানগর শাখার একজন নেতা বক্তৃতা দেওয়ার সময় জেলা শাখার এক নেতার বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে উভয়পক্ষের কর্মীরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে এই তর্ক হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং এক পর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। অন্তত ৪ থেকে ৫ জন নেতাকর্মী সামান্য আহত হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সংঘর্ষের শব্দে অনুষ্ঠানস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
সংঘর্ষের খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ উভয়পক্ষকে শান্ত করে সভা বন্ধ ঘোষণা করে স্থান ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়। তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা বা আটক হয়নি।

নেতাদের প্রতিক্রিয়া
জেলা জাতীয় যুবশক্তির এক সিনিয়র নেতা বলেন, “কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীর আচরণের কারণে সভার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাব এবং প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে মহানগরের এক নেতা জানান, “সভায় কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এই ধরনের ঘটনা সংগঠনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে, আমরা তাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক শাস্তি দেবো।”

সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জাতীয় যুবশক্তির মতো একটি জাতীয় পর্যায়ের সংগঠনের সভায় এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সমালোচনা করেছেন।

উপসংহার
জাতীয় যুবশক্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রকাশ্য রূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে দ্রুত তদন্ত ও শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জয়পুরহাটে জামায়াতের ইউনিট সন্মেলনে – মাওঃ আব্দুল হালিম সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটকে মজবুত করার আহব্বান

গাজীপুরে জাতীয় যুবশক্তির জেলা ও মহানগর সমন্বয় সভায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি: সাংগঠনিক কোন্দলে উত্তপ্ত পরিবেশ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৫৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

গাজীপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় যুবশক্তির যৌথ জেলা সমন্বয় সভা চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর শহরের একটি স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে সভা শান্তিপূর্ণভাবে চললেও, সংগঠনের নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণ
সভার এক পর্যায়ে মহানগর শাখার একজন নেতা বক্তৃতা দেওয়ার সময় জেলা শাখার এক নেতার বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানান। তাৎক্ষণিকভাবে উভয়পক্ষের কর্মীরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে এই তর্ক হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং এক পর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। অন্তত ৪ থেকে ৫ জন নেতাকর্মী সামান্য আহত হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সংঘর্ষের শব্দে অনুষ্ঠানস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
সংঘর্ষের খবর পেয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ উভয়পক্ষকে শান্ত করে সভা বন্ধ ঘোষণা করে স্থান ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়। তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা বা আটক হয়নি।

নেতাদের প্রতিক্রিয়া
জেলা জাতীয় যুবশক্তির এক সিনিয়র নেতা বলেন, “কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীর আচরণের কারণে সভার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাব এবং প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে মহানগরের এক নেতা জানান, “সভায় কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এই ধরনের ঘটনা সংগঠনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে, আমরা তাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক শাস্তি দেবো।”

সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই জাতীয় যুবশক্তির মতো একটি জাতীয় পর্যায়ের সংগঠনের সভায় এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সমালোচনা করেছেন।

উপসংহার
জাতীয় যুবশক্তির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রকাশ্য রূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে দ্রুত তদন্ত ও শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।