
বাগেরহাটে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের
বিচার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শেখ রাজিবুল হক।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের
দত্তকাঠি এলাকার মৃত রেজাউল শেখের ছেলে পিঞ্জু শেখ (৩৩) এর দাবিকৃত চাঁদা
দিতে অস্বীকৃতি এবং ঘের লুটে বাধা দেওয়ায় ঘটনার দিন পিঞ্জু ও তার বাহিনী
সদস্য মোস্তাক ফকির, সাব্বির শেখ, লুৎফর মল্লিক, সজিব শেখ, রাজীব শেখ,
শান্ত শেখ, মিঠু শেখ, হুমাউন শেখ, লেলিন শেখ ও আজমাইন শেখ এবং অজ্ঞাতনামা
বহিরাগত আরো সন্ত্রাসীদের সমš^য়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের
উপর হামলা করে। এতে আমার বৃদ্ধা মাতা শরীফা বেগম (৬৭), সহ আমার বড়ভাই
রিয়াদুল হক (৩৯), চাচাতো ভাই রাসেল শেখ (৩৫), রাশেদুল হক (৩৩) ভাইপো
ইনামুল হক (৩৩) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
চিকিৎজার জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে হাসপাতাল আমাকে ও আমার মাকে
খুলনায় রেফার করলে আমরা খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হই।
এ ছাড়া আমার ব্যবহৃত একটি মটরসাইকেল ভাংচুর ও বাড়ীর মালামাল লুট ও মাছের
ঘের লুট এবং ঘেরের বাসা পুড়িয়ে দিয়ে আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকার ¶তি করেছে।
চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীরা পিঞ্জ শেখ ও তার সন্ত্রাসীরা শুধু আমাদের উপর
হামলা করে ক্ষ্যান্ত হয় নাই। তারা এলাকায় জোরপূর্বক সরকারী রেকর্ডিয় খালে
বাধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছে এবং প্রকাশ্য অবৈধ অস্ত্র উচিয়ে এলাকায়
তান্ডব চালায়।
১৬ জুন আমি বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সদর মডেল থানায়
লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানার অফিসার ইনচার্জ আমাদের অভিযোগ পেয়ে
প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করেন। মামলায়
সন্ত্রাসী পিন্ধু শেখ সহ ১১ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা
২০/২৫জন কে আসামী করা হয়। এরপর ৫/৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামীকে
গ্রেফতার করতে পারে নাইা।
এখন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা মামলা প্রত্যাহার না করিলে তারা হত্যা,
অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের হুমকি পুনরায় দিয়ে যাচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার
সার্বক্ষনিক জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের
লেখনির মাধ্যমে এ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলক
শাস্তির দাবী জানান।