০২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনার চাটমোহরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার || স্বজনদের অভিযোগ হত্যা

রোববার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকায়,  আলাউদ্দিন হোসেনের তৃতীয় স্ত্রী, ছালমা খাতুন (৩৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের সদস্যরা ছালমা খাতুনকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর দিলে হান্ডিয়াল পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম রবি জানায়, “আমার বোন আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নয়। তার সঙ্গে প্রায়ই পারিবারিক কলহ হতো। আমাদের ধারণা, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে অথবা নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরজুমা আক্তার। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন। অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মহম্মদপুরে অলৌকিকভাবে প্রাণে বাঁচলো মাটি চাপা যুবক

পাবনার চাটমোহরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার || স্বজনদের অভিযোগ হত্যা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৪:৫৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
রোববার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকায়,  আলাউদ্দিন হোসেনের তৃতীয় স্ত্রী, ছালমা খাতুন (৩৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের সদস্যরা ছালমা খাতুনকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে খবর দিলে হান্ডিয়াল পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম রবি জানায়, “আমার বোন আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নয়। তার সঙ্গে প্রায়ই পারিবারিক কলহ হতো। আমাদের ধারণা, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে অথবা নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আরজুমা আক্তার। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন। অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”