০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাট-৩ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী তৎপরতা শুরু

  • আলী আজীম
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • 174

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে সম্ভাব্য জামায়াতের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, সভা সমাবেশ করে প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটারদের দোয়াও চাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপি এ আসনটি ফিরে পেতে মরিয়া। তারা তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করছেন। পাশা-পাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর নেতা-কর্মী সমর্থকদের মাঝে নির্বাচন কেন্দ্রীক কর্মচাঞ্চল্য দেখাগেছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের সাথে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আলোচনায় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২৬ সালের ফেবুয়ারির মাঝামাঝি ঘোষণার পর বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল)আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছেন।
এই আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য একক প্রার্থী বাগেরহাট জেলা জামায়াতে নায়েবে আমির এ্যাডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদের নাম ঘোষণা করা হলেও বিএনপি’র সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন। জাতীয় পার্টি নিস্ক্রিয় এবং এনসিপির নির্বাচনী তৎপরতা এমুহুর্তে নেই বললে চলে।
প্রার্থীরা পৃথক পৃথকভাবে কর্মীসভা,সমাবেশসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। হাট-বাজার রেলস্টেশন, চায়ের দোকানসহ জনবহুল এলাকাগুলোতে ভোটারদের মুখে নির্বাচনের সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের নাম নিয়ে চলছে খোশ গল্প।
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন।
বিএনপির নেতা, কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়া এখনই উপযুক্ত সময়। তারা জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দলীয় এজেন্ডা তুলে ধরছেন। এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপির সর্বোচ্চ নিতি নির্ধারনী পর্যায় থেকে যাকে মনোনয়ন প্রদান করা হবে, তার সাথে কাজ করতে সকল নেতাকর্মী অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানাগেছে। সরাসরি জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন কারাই দলগুলোর মূল লক্ষ।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চারটি সংসদ নির্বাচনেই এই আসনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছিল জামায়াত। সব কটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন জামায়াতের প্রার্থী। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপি ও জামায়াত আলাদাভাবে নির্বাচন করেছিল। বিএনপির প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৮১২ ভোট। জামায়াতের প্রার্থী গাজী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছিলেন ৩২ হাজার ২০৫ ভোট। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও বিএনপি ও জামায়াত আলাদা নির্বাচন করেছিল। জামায়াতের প্রার্থী গাজী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৩২১ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী এ ইউ আহমেদ পান ২১ হাজার ৫৫০ ভোট। ২০০১ সাল থেকে জোটবদ্ধ নির্বাচনে এই আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। ২০০১ ও ২০০৮ সালের দুটি নির্বাচনেই জামায়াতের প্রার্থী পরাজিত হন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু আহত দুই গৃহবধূ

বাগেরহাট-৩ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী তৎপরতা শুরু

পোস্ট হয়েছেঃ ০৯:১৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে সম্ভাব্য জামায়াতের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, সভা সমাবেশ করে প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটারদের দোয়াও চাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপি এ আসনটি ফিরে পেতে মরিয়া। তারা তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করছেন। পাশা-পাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর নেতা-কর্মী সমর্থকদের মাঝে নির্বাচন কেন্দ্রীক কর্মচাঞ্চল্য দেখাগেছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসের সাথে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আলোচনায় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২৬ সালের ফেবুয়ারির মাঝামাঝি ঘোষণার পর বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল)আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছেন।
এই আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য একক প্রার্থী বাগেরহাট জেলা জামায়াতে নায়েবে আমির এ্যাডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদের নাম ঘোষণা করা হলেও বিএনপি’র সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন। জাতীয় পার্টি নিস্ক্রিয় এবং এনসিপির নির্বাচনী তৎপরতা এমুহুর্তে নেই বললে চলে।
প্রার্থীরা পৃথক পৃথকভাবে কর্মীসভা,সমাবেশসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। হাট-বাজার রেলস্টেশন, চায়ের দোকানসহ জনবহুল এলাকাগুলোতে ভোটারদের মুখে নির্বাচনের সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের নাম নিয়ে চলছে খোশ গল্প।
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন।
বিএনপির নেতা, কর্মী সমর্থকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়া এখনই উপযুক্ত সময়। তারা জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দলীয় এজেন্ডা তুলে ধরছেন। এছাড়াও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপির সর্বোচ্চ নিতি নির্ধারনী পর্যায় থেকে যাকে মনোনয়ন প্রদান করা হবে, তার সাথে কাজ করতে সকল নেতাকর্মী অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানাগেছে। সরাসরি জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন কারাই দলগুলোর মূল লক্ষ।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চারটি সংসদ নির্বাচনেই এই আসনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছিল জামায়াত। সব কটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন জামায়াতের প্রার্থী। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে বিএনপি ও জামায়াত আলাদাভাবে নির্বাচন করেছিল। বিএনপির প্রার্থী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৮১২ ভোট। জামায়াতের প্রার্থী গাজী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছিলেন ৩২ হাজার ২০৫ ভোট। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও বিএনপি ও জামায়াত আলাদা নির্বাচন করেছিল। জামায়াতের প্রার্থী গাজী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৩২১ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী এ ইউ আহমেদ পান ২১ হাজার ৫৫০ ভোট। ২০০১ সাল থেকে জোটবদ্ধ নির্বাচনে এই আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। ২০০১ ও ২০০৮ সালের দুটি নির্বাচনেই জামায়াতের প্রার্থী পরাজিত হন।