
গাজীপুরে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ — তদন্ত দাবি জনসাধারণের
গাজীপুর, ২৫ জুন:
গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি চক্রের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়ংকর চাঁদাবাজির অভিযোগ। অভিযোগে জানা যায়, এই চক্র পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন এলাকায় আসামিদের ধরে আনছে এবং পরে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে গোপনে তাদের ছেড়ে দিচ্ছে। টাকা না দিতে পারলে হয়রানি, রিমান্ড ও মামলায় জড়ানোর ভয় দেখানো হয় বলে একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র মতে, এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিবি মাসুদ ও তার টিম। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এই পন্থায় বিভিন্ন মামলার আসামি ও নিরীহ ব্যক্তিদের টার্গেট করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। জানা গেছে, প্রতিটি ‘ডিল’-এর অঙ্ক ৫০ হাজার থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকার ঘরেও পৌঁছায়। অনেক ক্ষেত্রে নির্দোষ ব্যক্তিদেরকেও ‘ফিটিং’ করে ফাঁসানো হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য:
একাধিক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাজীপুর ক্রাইম নিউজকে জানান,
“একবার ধরা পড়লে ছাড়া পাওয়ার একমাত্র উপায় টাকা, আর সেটা দিতে না পারলে চালান নিশ্চিত। পুলিশের ভাষায়, ‘ব্যবস্থা না করলে বুঝে নিও’। ”
জনমনে আতঙ্ক:
এভাবে আইনের রক্ষকরা যদি নিজেরাই আইন ভেঙে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? গাজীপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
প্রয়োজন নিরপেক্ষ তদন্ত:
এমন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ —
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
জেলা প্রশাসন (DC)
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB-10)
সেনাবাহিনী
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (GMP)
— এর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে তারা দ্রুত ও স্বতন্ত্র তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনেন।
সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান:
সত্য অনুসন্ধান এবং জনস্বার্থে এই ঘটনার গভীরে গিয়ে অনুসন্ধান চালানো এখন সময়ের দাবি। যাতে নির্দোষ মানুষের উপর এ ধরনের হয়রানি ও অবিচার বন্ধ হয়।