
কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার পৌরসভার নাগরিকদের নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় ‘ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের’ কাজ প্রায় শেষ হলেও জনবল সংকটের কারনে পৌর প্রশাসক তা বুঝে নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এরই মধ্যে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত দেবীদ্বার পৌরসভায় ৪৫ হাজার ভোটারসহ প্রায় লক্ষাধীক জনগোষ্ঠীর এলাকার নাগরিকদের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পানি সরবরাহে পাইপলাইনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়, রান্নার কাজে এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারে বাড়িতে বাড়িতে পানি পৌঁছে দিতে ‘ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ইতিমধ্যে ৪হাজার ৫শত পরিবার টার্গেট নিয়ে, ২হাজার ৫শত পরিবারের জন্য পাইপলাইনে বাড়ি বাড়ি সংযোগ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকীগুলো পর্যায়ক্রমে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
২০২০সালের ১৫অক্টোবর এবং ২০২৩সালের ১২জানুয়ারী পৃথক দু’টি দরপত্রের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং পৌরসভার অর্থায়নে প্রায় ২৮কোটি ১১লক্ষ ৮৮হাজার ৩৪২টাকা ব্যয়ে ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়। কাজটি করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জিলানী ট্রেডার্স’।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রকল্পের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। করোনার প্রভাব, জমি অধিগ্রহনে দীর্ঘসূত্রীতা, নির্বাচিত মেয়র না থাকায় এবং রাজনৈতিক কারনে কাজের মেয়াদ একাধিকবার বর্ধিত করা হয়।
অপর দিকে ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প বাস্তবায়নে পৌরসভার তত্বাবধানে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারী এক কার্যাদেশে কাজটি পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জিলানী ট্রেডার্স’। ভূমি অধিগ্রহন, ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ লাইন, হাউজ কানেকশনে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় ১০ কোটি ৫৫ লক্ষ, ৮৮ হাজার ৩৪২ টাকা। কাজের মেয়াদ ছিল গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর।
দেবীদ্বার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অর্জিন চাকমা জানান, পৌর এলাকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় উৎস থেকে শুরু করে পানি সংরক্ষণে জলাধার বা রিজার্ভার তৈরি, শোধনাগার এবং ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সরবরাহ করা হবে। পৌরসভা ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পটি পৌর এলাকার মানুষ নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পানি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে পারবে। কিন্তু জনবলের অভাবে এবং পৌর মেয়র না থাকায় প্রকল্পটি পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করতে পারছিনা।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলাম জানান, জনবলের সংকটে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ‘ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প’ বুঝে নিতে বিলম্ব হচ্ছে। জনবল চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। জনবল নিয়োগের পর খুব শীঘ্রই ‘ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প’ বুঝে নিয়ে জনস্বার্থে পানি সরবরাহের কাজ শুরু করে দেব।