
ঘড়ির কাটায় সকাল ৯ টা বেজে ৪২ মিনিট। তখনও কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন গ্রহিতা। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পোষ্ট অফিসে মঙ্গলবার (১ জু্লাই) সরেজমিন গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। পরে ৪৩ মিনিটের দিকে কার্যালয়ের তালা খোলেন পোষ্ট অফিসের তিনজন কর্মচারী। অথচ সকাল ৯ টার মধ্যে কার্যালয় খোলার কথা।
স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিদিনই সকাল ৯টার পরে খোলা হয় উপজেলা পোষ্ট অফিসের কার্যালয়। কর্মকর্তা – কর্মচারীরা আসেন আরো দেরিতে। আবার বিকেল ৪ টার না বাজতেই কার্যালয় বন্ধ করে চলে যান তারা। এতে প্রতিদিনই সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রহিতারা।
স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল হক সাগর বলেন, সকাল ৯ টা বেজে ৪২ মিনিট। এখনও কার্যালয় তালাবদ্ধ। কয়েকজন সেবাগ্রহীতা কার্যালয় বন্ধ দেখে ফিরে গেছেন। অথচ সকাল ৯ টায় সরকারি অফিস খোলার কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ঠিক ৯ টায় একদিনও অফিস খোলা হয়না। আবার ৪ টা বাজলেই বন্ধ হয়ে যায়। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। সরকারি নিয়মে অফিস চালুর দাবি জানান তিনি।
জৈবিক কারণে কার্যালয় খুলতে মঙ্গলবার আধাঘণ্টা দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী পোষ্ট অফিসের মাস্টার মো. হাসানুজ্জামান। তবে প্রতিদিনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, সাধারণত নৈশ প্রহরী প্রতিদিন সকালে অফিস খোলেন। এছাড়া আরো চারজনের কাছে চাবি রয়েছে। যে আগে আসেন, সেই তালা খোলেন। কিন্তু গতকাল নৈশপ্রহরী দাঁয়িত্বে ছিলেন না। সেজন্য এমন হয়েছে।
নৈশ প্রহরী আবু সাইদ বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে গত সোমবার সন্ধায় বাড়িতে চলে আসছিলাম। বিষয়টি পোষ্ট মাস্টারকে জানানো হয়েছিল। তার ভাষ্য, দাঁয়িত্ব শেষে প্রতিদিন সকাল ৭টার দিকে বাড়ি ফিরি। সকালের তালা কে খোলেন তা জানিনা।
তবে কার্যালয় খোলা ও বন্ধের এমন অনিয়মের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া ডেপুটি পোষ্ট মাস্টার জেনারেল মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি ফোনে বলেন, নিয়ম মেনে চলার জন্য বার বার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবুও অনিয়ম হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।